ETV Bharat / sports

ধোনির সঙ্গে মেলে জীবনের গল্প, বিন্দ্রার জন্য দ্বাদশের পরীক্ষায় বসেননি শুটিংয়ের নতুন তারা - PARIS OLYMPICS 2024

author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : Aug 1, 2024, 7:12 PM IST

BEHIND STORY OF SWAPNIL KUSALE'S SUCCESS: প্রিয় অ্যাথলিট ধোনি, আবার ধোনির মত তিনিও টিকিট কালেক্টর ৷ মধ্য রেলের কর্মী স্বপ্নিল কুসালের সাফল্যের নেপথ্যে আছে নানা ঘটনা ৷

SWAPNIL KUSALE
পোডিয়ামে পদকের স্বাদ নিচ্ছেন স্বপ্নিল (AP Photo)

মুম্বই, 1 অগস্ট: ক্রিকেটার হওয়ার আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনের গল্প তো সকলেরই জানা ৷ দু'বারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার আগে খড়গপুর রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ৷ মাহির জীবনের সেই গল্প অনেকাংশে মিলে যায় বৃহস্পতিতে দেশকে পদক এনে দেওয়া স্বপ্নিল কুসালের সঙ্গে ৷ ঘটনাচক্রে গত ন'বছর ধরে মধ্য রেলওয়েতে টিকিট কালেক্টর হিসেবে কর্মরত তিনিও ৷

সপ্তম ভারতীয় শুটার হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক আনলেও 50 মিটার রাইফেল-থ্রি পজিশনে পদক আনা প্রথম শুটার মহারাষ্ট্রের ছেলে স্বপ্নিল ৷ তবে ব্রোঞ্জজয়ীর পরিবারে শুটিংয়ের যে কোনও প্রেক্ষাপট রয়েছে তেমনটা একেবারেই নয় ৷ একইসঙ্গে কোলাপুর খেলাধুলো বলতে ফুটবল বুঝলেও ছক ভেঙে রাইফেল শুটিংয়ে মজেছিলেন স্বপ্নিল ৷ আর সে জন্য নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় কম্বলওয়াড়ি থেকে নাসিকে পাড়ি দেন তিনি ৷

মা সরপঞ্চ এবং বাবা স্কুল প্রধান: স্বপ্নিলের বাবা সুরেশ কুসালে কোলাপুরের জিলা পরিষদ স্কুলের প্রধান ৷ অন্যদিকে মা গ্রামের প্রধান, যে গ্রামে মূলত ওয়ার্কারি সম্প্রদায়ের বসবাস ৷ খেলাধুলোর সঙ্গে যেটুকু যোগ রয়েছে, তা হল ভাই সূরজ কুসালের ৷ একটি স্কুলে খেলাধুলোর শিক্ষক পদে কর্মরত তিনি ৷ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে শুটিংয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়ে শুটারের ৷ পুনের বালেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তাঁর শুটিং শিক্ষার হাতেখড়ি ৷ এমনকী শুটিংয়ের তারণায় তিনি কোলাপুর থেকে সে সময় সাংলিত এসে বসবাসও শুরু করেন ৷ পরবর্তীতে ট্রেনিংয়ের জন্য আস্তানা বদলে 2009 সালে তিনি নাসিকেও গিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৷

অভিনব বিন্দ্রার শুটিং থেকে অনুপ্রেরণা: 2008 সালে বেজিং অলিম্পিক্স চলাকালীন দ্বাদশের পরীক্ষায় বসেছিলেন স্বপ্নিল ৷ কিন্তু টেলিভিশনে সোনাজয়ী অভিনব বিন্দ্রার শুটিং দেখবেন বলে একটি পরীক্ষা দিতেই যাননি তিনি ৷ আর বিন্দ্রার সোনা থেকেই অনুপ্রেরণা সংগ্রহ করেছিলেন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী স্বপ্নিল ৷

মধ্য রেলওয়েতে কর্মরত: গত ন'বছর ধরে (2015 থেকে) মধ্য রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর পদে কর্মরত ভারতীয় শুটিংয়ের নয়া তারা স্বপ্নিল ৷ অলিম্পিক্সের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তিনি কোনও শুটারকে আইডলের চোখে দেখেন না ৷ তবে অন্য়ান্য খেলাধুলোর মধ্যে ধোনি তাঁর ভীষণ পছন্দের ৷ শুটিংয়ের সময় ধোনির মতই শান্ত থাকতে চান বলেও জানান তিনি ৷

এদিকে পদকজয়ের পরই স্বপ্নিলের জন্য বড়সড় আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা এসেছে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে ৷ শুটারের জন্য 1 কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ৷

মুম্বই, 1 অগস্ট: ক্রিকেটার হওয়ার আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির জীবনের গল্প তো সকলেরই জানা ৷ দু'বারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার আগে খড়গপুর রেলস্টেশনের টিকিট কালেক্টর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন ৷ মাহির জীবনের সেই গল্প অনেকাংশে মিলে যায় বৃহস্পতিতে দেশকে পদক এনে দেওয়া স্বপ্নিল কুসালের সঙ্গে ৷ ঘটনাচক্রে গত ন'বছর ধরে মধ্য রেলওয়েতে টিকিট কালেক্টর হিসেবে কর্মরত তিনিও ৷

সপ্তম ভারতীয় শুটার হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক আনলেও 50 মিটার রাইফেল-থ্রি পজিশনে পদক আনা প্রথম শুটার মহারাষ্ট্রের ছেলে স্বপ্নিল ৷ তবে ব্রোঞ্জজয়ীর পরিবারে শুটিংয়ের যে কোনও প্রেক্ষাপট রয়েছে তেমনটা একেবারেই নয় ৷ একইসঙ্গে কোলাপুর খেলাধুলো বলতে ফুটবল বুঝলেও ছক ভেঙে রাইফেল শুটিংয়ে মজেছিলেন স্বপ্নিল ৷ আর সে জন্য নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় কম্বলওয়াড়ি থেকে নাসিকে পাড়ি দেন তিনি ৷

মা সরপঞ্চ এবং বাবা স্কুল প্রধান: স্বপ্নিলের বাবা সুরেশ কুসালে কোলাপুরের জিলা পরিষদ স্কুলের প্রধান ৷ অন্যদিকে মা গ্রামের প্রধান, যে গ্রামে মূলত ওয়ার্কারি সম্প্রদায়ের বসবাস ৷ খেলাধুলোর সঙ্গে যেটুকু যোগ রয়েছে, তা হল ভাই সূরজ কুসালের ৷ একটি স্কুলে খেলাধুলোর শিক্ষক পদে কর্মরত তিনি ৷ সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে শুটিংয়ের প্রতি ঝোঁক বাড়ে শুটারের ৷ পুনের বালেওয়াড়ি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তাঁর শুটিং শিক্ষার হাতেখড়ি ৷ এমনকী শুটিংয়ের তারণায় তিনি কোলাপুর থেকে সে সময় সাংলিত এসে বসবাসও শুরু করেন ৷ পরবর্তীতে ট্রেনিংয়ের জন্য আস্তানা বদলে 2009 সালে তিনি নাসিকেও গিয়েছিলেন ৷ সেখান থেকেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৷

অভিনব বিন্দ্রার শুটিং থেকে অনুপ্রেরণা: 2008 সালে বেজিং অলিম্পিক্স চলাকালীন দ্বাদশের পরীক্ষায় বসেছিলেন স্বপ্নিল ৷ কিন্তু টেলিভিশনে সোনাজয়ী অভিনব বিন্দ্রার শুটিং দেখবেন বলে একটি পরীক্ষা দিতেই যাননি তিনি ৷ আর বিন্দ্রার সোনা থেকেই অনুপ্রেরণা সংগ্রহ করেছিলেন অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী স্বপ্নিল ৷

মধ্য রেলওয়েতে কর্মরত: গত ন'বছর ধরে (2015 থেকে) মধ্য রেলওয়ের টিকিট কালেক্টর পদে কর্মরত ভারতীয় শুটিংয়ের নয়া তারা স্বপ্নিল ৷ অলিম্পিক্সের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তিনি কোনও শুটারকে আইডলের চোখে দেখেন না ৷ তবে অন্য়ান্য খেলাধুলোর মধ্যে ধোনি তাঁর ভীষণ পছন্দের ৷ শুটিংয়ের সময় ধোনির মতই শান্ত থাকতে চান বলেও জানান তিনি ৷

এদিকে পদকজয়ের পরই স্বপ্নিলের জন্য বড়সড় আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা এসেছে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে ৷ শুটারের জন্য 1 কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.