কোচি, 13 মার্চ: দুরন্ত আর্মান্দো সাদিকু ৷ আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের হাতে পড়ে ছন্দে ফিরছেন মোহনবাগানের বিদেশী খেলোয়াড়েরা ৷ ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ অতীত ৷ ম্যাচ ধরে এগোতে চাইছেন মোহনবাগানের হেডস্যর হাবাস ৷ কেরালা ম্যাচের শুরু থেকেই কোচের সেই মনোভাব ফুটে উঠছে দলের খেলায় ৷ কেরালার বিরুদ্ধে ম্যাচে 4 মিনিটে গোল সাদিকুর ৷ হাফটাইমে এক গোলে এগিয়ে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব ৷ মোহনবাগানে যেমন কেরালার প্রাক্তনী সাহাল আব্দুল সামাদ খেলছেন, তেমনই কেরালার হয়ে মাঠে রয়েছেন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে প্রীতম কোটাল ।
কেরালার মাটিতে ইয়েলো আর্মির বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেওয়া কার্যত সিংহের গুহায় ঢুকে সিংহ শিকারের সামিল । শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হেরেছে কেরালা । কিন্তু শেষ ম্যাচে 81 মিনিট পর্যন্ত 1-2 গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে কেরালা 4-2 গোলে জিতেছিল । ফলে কোচির মাঠ যেকোনও প্রতিপক্ষের কাছে দুঃস্বপ্নের । হাবাসের কোচিংয়ে বদলে যাওয়া সুপার জায়ান্ট ব্রিগেড প্রতিকূল পরিবেশে জয় ছিনিয়ে নেওয়াকেই পাখির চোখ করতে চাইছে ।
মঙ্গলবার নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডকে 4-1 গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে মুম্বই সিটি এফসি ৷ 19 ম্যাচে 39 পয়েন্ট পাওয়া মুম্বইয়ের গোলপার্থক্য 17 ৷ এই মুহূর্তে 17 ম্যাচে বাগানের সংগ্রহ 36 পয়েন্ট ৷ এই ম্যাচ জিতলে এক ম্যাচ কম খেলে পয়েন্টের বিচারে মুম্বইকে ছোঁবে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব ৷ মোহনবাগান দু’গোলের ব্যবধানে কেরালাকে হারালে মুম্বইকে গোলপার্থক্যে ছুঁয়ে ফেলবে ৷ তিন গোলের ব্যবধানে কেরালা ‘বধ’ করলে ফের পয়েন্ট টেবিলের মগডালে উঠে যাবে ‘হাবাস অ্যান্ড কোং’ ৷
আরও পড়ুন: