কলকাতা, 31 অগস্ট: যাদের অতীত সোনায় মোড়া/বাবলু চুনী মান্না/তাদের রাতের ঘুম কেড়েছে/তিলোত্তমার কান্না ৷ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব আগেই হয়েছে বাংলার ফুটবল ৷ বিশেষ করে ময়দানের তিন প্রধানের সমর্থকেরা ৷ আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চাওয়ার আন্দোলন যে শেষ হয়ে যায়নি, তা দেখিয়ে দিল ডুরান্ড কাপ ফাইনাল ৷ সেমিফাইনালের পর শনিবার যুবভারতীর ফাইনালের গ্যালারিতেও নামল প্রতিবাদী টিফো ৷
এদিন যুবভারতীর গ্যালারিতে হাজির পঞ্চাশ হাজারের বেশি দর্শক ৷ যার সিংহভাগই সবুজ-মেরুন ৷ ফলে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ফের প্রতিবাদের আঁচ প্রত্যাশিত ছিল এবং তা হলও। শুধু হলই না, বিরতিতে তা আরও বড় আকারে দেখা গেল সবুজ-মেরুন গ্যালারিতে। ম্যাচের শুরুতে নেমেছিল টিফো, আর প্রতিবাদের সুর আরও চড়া হল বিরতিতে। বিরতিতে দ্বিতীয়বারের জন্য টিফো নামল বাগান গ্যালারিতে। একইসঙ্গে তীব্র হল স্লোগান। ডুরান্ড আয়োজকরা ম্যাচের বিরতিতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কিন্তু তা ছাপিয়ে যুবভারতী সরগরম হল আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে নির্যাতন ও খুনের ঘটনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছিল এবারের ডুরান্ড ৷ ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার মানুষের কণ্ঠস্বর জোরালো হওয়ায় ফুটবলের মক্কা থেকে প্রতিযোগিতা সরিয়ে নিয়েছিল আয়োজকরা ৷ বাতিল হয়েছিল গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ ৷ কিন্তু পরবর্তীতে তিন প্রধানের আর্জিতে ফের কলকাতায় ফেরে ডুরান্ড ৷ সেমিফাইনালে মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু ম্য়াচেও দেখা গিয়েছিস প্রতিবাদী টিফো ৷
যদিও টিফো নিয়ে প্রথমে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ৷ প্রতিবাদে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে ৷ হাইকোর্ট বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের বিরুদ্ধে গিয়ে টিফো নিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট ৷