কলকাতা, 14 অগস্ট: কল্যাণীতে কাস্টমসের কড়া চেকিং ৷ আর তাতেই আটকে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৷ পরপর দু’ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করল সবুজ-মেরুন ক্লাব ৷ আর সেই সঙ্গে কলকাতা ফুটবল লিগের সুপার সিক্সে পৌঁছনোর দৌড়টা মোহনবাগানের জন্য কঠিন হয়ে গেল ৷ জর্জ টেলিগ্রাফে বিরুদ্ধে পরাজয়ের পরে মোহনবাগান কোচ কার্ডোজো জানিয়েছিলেন দল ঘুরে দাঁড়াবে ৷ কিন্তু, কল্যাণী স্টেডিয়ামে কাস্টমসের বিরুদ্ধে জয়ের দরজা খোলার বদলে গোলশূন্য ড্র করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৷ এই ড্রয়ের ফলে নয় ম্যাচে 13 পয়েন্টে পৌঁছল তারা ৷
অন্যদিকে, ঝুলিতে কুড়ি পয়েন্ট নিয়ে প্রথম তিনে জায়গা আরও শক্তিশালী করে ফেলল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের কাস্টমস ৷ ম্যাচ পরিসংখ্যান বলছে, বলের দখল ও গোলমুখী শটে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট প্রতিপক্ষের থেকে অনেক এগিয়ে ৷ কিন্তু, তা সত্ত্বেও গোল হয়নি ৷ আর এর নেপথ্যে রয়েছেন কাস্টমসের চার ডিফেন্ডার এবং গোলরক্ষক শুভমের দুরন্ত ফুটবল ৷ সময় যত গড়িয়েছে কাস্টমসের ডিফেন্ডার এনসন, টাইসন, ফারদিন আলি মোল্লা এবং সালাউদ্দিন রক্ষণের ঘেরাটোপে আটকে দিয়েছে মোহনবাগান ৷ যা থেকে ফেরার পথ খুঁজে পায়নি সবুজ-মেরুন ৷ বরং দিগভ্রষ্ট হয়েছে ৷
প্রথমার্ধে, খটখটে রোদ ও দ্বিতীয়ার্ধে বৃষ্টি ভেজা মাঠ, দু’দলের ফুটবলারদের সমস্যায় ফেলেছিল ৷ বিশেষ করে ভিজে মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আক্রমণের চাপ বাড়াতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ফুটবলাররা ব্যর্থ হয়েছেন ৷ তবে, প্রতিপক্ষের এই দুর্বলতার সুযোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের কাস্টমস ৷ রক্ষণে লোক বাড়িয়ে প্রতিপক্ষকে আটকে, দ্রুত প্রতিআক্রমণে গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা ৷ বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি আক্রমণ সাজালেও, তা সবুজ-মেরুন পেনাল্টি বক্সের সামনে দিশেহারা ছিল ৷
তাই জয়ের বদলে, ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল কাস্টমসকে ৷ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য দাবি, ম্যাচের রাশ তাঁর দলের হাতে, থাকলেও গোলমুখে ব্যর্থতা তিন পয়েন্ট পেতে দিল না ৷ এক্ষেত্রে দলের সামগ্রিক অনভিজ্ঞতাকে দায়ী করেছেন তিনি ৷ অন্যদিকে, আশা ছাড়তে নারাজ কার্ডোজো ৷ তিনি বিশ্বাস করেন, তাদেরও সুযোগ রয়েছে ৷