কলকাতা, 5 এপ্রিল: ফিফা ব্রেকের পরে কলকাতার দুই প্রধান ইতিমধ্যে আইএসএলের যুদ্ধে নেমে পড়েছে । দু’দলের কাছেই ফিরতি পর্বের বাকি 3টি ম্যাচ ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে উপস্থিত। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এই পর্বের যাত্রা ভালোভাবে শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে । কারণ ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চেন্নাই এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকা অবস্থা পরাজিত হয়েছে ।
ফলত, এই পর্বের ম্যাচগুলোয় জয় তুলে নিয়ে অধরা লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে জাঁকিয়ে বসবে সেই আশা ধাক্কা খেয়েছে । ওই ম্যাচে কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাস শারীরিক সমস্যার কারণে ডাগ-আউটে ছিলেন না । তাঁর অভাব অনুভূত হয়েছে । অবশেষে সুস্থ হয়ে ডাগ-আউটে সম্ভবত ফিরছেন হাবাস । 'সম্ভবত' কথাটা লিখতে হচ্ছে কারণ প্র্যাকটিসে তিনি যোগ দেননি । চিকিৎসকরা তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন । ইতিমধ্যেই সাংবাদিক সম্মেলন করে দল নিয়ে তাঁর দিল্লি উড়ে যাওয়ার কথা সরকারি জানানো হয়েছে । তাতেও অনিশ্চয়তার মেঘ রয়েছে ।
চোট সারলেও সাহাল আব্দুল সামাদকে দলের বাইরেই রাখা হচ্ছে । তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে সুপার জায়ান্ট থিঙ্কট্যাঙ্ক। শনিবার পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট । লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয় জরুরি । ইতিমধ্যে 20ম্যাচে 39 পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে সবুজ-মেরুন । তবে হারের ধাক্কা সরিয়ে মোহনবাগান ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া।
এই প্রসঙ্গেই জনি কাউকো আত্মবিশ্বাসের সুরে জানান, লিগ শিল্ড তারাই জিতবেন । পঞ্জাব ম্যাচেই পরিচিত ছন্দে ফিরবেন। এদিকে 6 এবং 10 এপ্রিল পঞ্জাব এফসি তাদের দুটো ম্যাচ ক্লোজড ডোর করে খেলার কথা ঘোষণা করে ।" দর্শকহীন স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের জন্য তারা অনভিপ্রেত পরিস্থিতিকে দায়ী করেছে । পঞ্জাব এফসির প্রতিপক্ষ মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট এবং 10 এপ্রিল প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল এফসি ।
কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় পয়েন্ট টেবিলে সাত নম্বরে তুলে নিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গলকে । সামনে রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ। তারপর 10এপ্রিল দিল্লিতে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে খেলবে । জয়ের আলো লাল হলুদ সাজঘরে ঢুকলেও তা মাথায় চড়তে দিচ্ছেন না ফুটবলাররা। প্রত্যেকেই বলছেন সামনের দুটো ম্যাচ ফাইনাল ধরে এগোবেন । কারণ প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়ার সুযোগ টিমটিম করে রয়েছে । তা কাজে লাগাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল ।
আরও পডুন: