কলকাতা, 11 অগস্ট: গতবারের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়রা কি খেতাবী দৌড়ের চুড়ান্ত পর্বে পৌছতে পারবে না? পরিস্থিতি সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। কারণ, গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এখন পয়েন্ট হারানোকে অভ্যাসে পরিনত করে ফেলেছেন। ফলে প্রতিটি ম্যাচেই মহামেডান স্পোর্টিংকে ঘিরে সমর্থকদের আশা দুরাশায় পরিণত হয়েছে। ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস বলছেন একাধিক ফুটবলারের অনুপস্থিতির কারণেই এই ব্যর্থতা।
শুধু কলকাতা লিগ নয়, সমান্তরালভাবে ডুরাণ্ড কাপেও সাদাকালো শিবিরের পারফরম্যান্স তথৈবচ। ধারাবাহিকতা বিষয়টি এ বছরের মহামেডান স্পোর্টিংয়ের নেই। 13 সেপ্টেম্বর থেকে আইএসএল শুরু। এবার খেলবে মহামেডান স্পোর্টিং। শক্তিশালী দল গড়তে কর্তারা নতুন বিনিয়োগকারী যোগাড় করেছেন। কিন্তু, যাদের পারফরম্যান্সে বিনিয়োগকারী আকর্ষিত হয়, সমর্থকরা স্বপ্ন দেখে সেই ফুটবলাররা ব্যর্থতাকে যেন সঙ্গী করে তুলেছে। গত বার কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহামেডান। কিন্তু চলতি মরসুমে ভয় ধরানো খেলাটাই চোখে পড়ছে না সাদা-কালো দলের খেলায়। সেই সঙ্গে সমর্থকরাও দলের খেলায় হতাশ।
কলকাতা লিগের শেষ ম্যাচে ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচিয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শনিবারও কল্যাণীতে বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলেন মহীতোষ রায়রা। একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল মহামেডানকে। ফলে প্রথম তিনে ওঠার আশা ক্রমশ কমছে। নয় ম্যাচে 15 পয়েন্ট নিয়ে লিগে গ্রুপ ‘এ’-তে চার নম্বরে রইল মহামেডান।
ম্যাচের 11 মিনিটে সুযোগ ছিল লালথানকিমার সামনে। বক্সের ভিতরে তিনি পাস বাড়ান সলমন ফারিসকে। ফিরতি বল প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফের লালথানকিমার কাথছে পৌঁছয়। কিন্তু সেই বল তিনি ক্রসবারের অনেকটা উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন। 13 মিনিটে আডিসন সিংহের সামনে সুযোগ থাকলেও তিনি সদ্ব্যবহার করতে পারেননি। সংযুক্ত সময়ে বিএসএসের শুভঙ্কর দাস ডিফেন্স চেরা থ্রু বাড়ান গৌরব দাসকে। তিনি বাঁ পায়ে মাইনাস করেন প্রীতম সরকারকে। প্রীতম ঘুরতে সময় নেওয়ায় বিপদ ঘটেনি। প্রথমার্ধের শেষে মোট আটটি শট নিলেও একটিও গোল লক্ষ্য করে ছিল না। বল দখলের লড়াইয়েও মহামেডান অনেকটাই এগিয়ে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধে সেই মরিয়া ভাবটাই দেখা গেল না মহামেডানের মধ্যে। দুই উইং দিয়ে বল ভেসে এলেও চূড়ান্ত কাজটাই হল না। 67 মিনিটে মহীতোষের গোল লক্ষ্য করে হেড সোজা চলে যায় গোলরক্ষক দ্বিপ্রভাত ঘোষের হাতে। বেশ কয়েকটি বলে নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন। ম্যাচের পরে ইসরাফিল দেওয়ান বলেন, “অনেক সুযোগ নষ্ট হয়েছে। আগামী ম্যাচে সেই ভুলগুলো করলে চলবে না। পরের তিনটি ম্যাচ জিততেই হবে।” কোচ ঘুরে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বাস করার লোক মহামেডান স্পোর্টিংয়ে নেই বললেই চলে।