কলকাতা, 8 এপ্রিল: "জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।" মিতভাষী আন্দ্রে চেরনিশভ আবেগতাড়িত। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছতেই সমর্থকদের শব্দব্রহ্ম বরণ করে নেয় কোচ থেকে ফুটবলারদের। সাধারণত রাশিয়ান চেরনিশভকে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে বিশেষ দেখা যায় না। সমর্থকদের আবেগ এবং ভালোবাসায় তিনিও খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হলেন। ফুটবলার-সহ কোচ সকলেই সাদা-কালো সমর্থকদের আবেগে ভেসে গেলেন।
দলের ম্যানেজার দীপেন্দু বিশ্বাস বলছেন, "আমার জীবনের সেরা জয়।" দলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার তন্ময় ঘোষ বলেন, "তিন প্রধান আইএসএলে খেলছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের পরে আমরাও করে দেখালাম।" খুশি কলকাতা লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ডেভিড লালহানসাঙ্গাও। বলেছেন, "এই জয় আমার মা'কে উৎসর্গ করছি। দারুণ খুশি। এবার আমরা আইএসএল খেলব।" বিমানবন্দর থেকে ফুটবলাররা ভলভো বাসে এলেও নিকো পার্কের সামনে থেকে ওঠেন দোতলা হুডখোলা বাসে। সেই সঙ্গে ড্রামের শব্দ তো ছিলই।
ক্লাব লনে কোচ-সহ বিজয়ী দলের ফটোসেশন হয়। তারপরে ডিনারে অংশ নেন তাঁরা। ক্লাব তাঁবুতে সমর্থকদের আবেগের ব্যারিকেড টপকে হুডখোলা বাস পৌঁছয় তখন রাত প্রায় দশটা। তাসা ড্রামের কাড়া নাকাড়ায় কান পাতা দায়। ময়দানের সেরা তাঁবু তৈরি করেছে মহামেডান স্পোর্টিং। আলো ঝলমলে তাঁবুর দিকে তাকালে মুগ্ধ হতে হত। তবে এতদিন সেই মুগ্ধতায় আবেগ বিশেষ ছিল না। আই লিগ জয়ের ছোঁয়া যেন পুরো ক্লাবকে জাগিয়ে দিয়েছে।
এবার দেশের সর্বোচ্চ লিগ আইএসএল। তবে আইএসএলের আঙিনায় পৌঁছে সাদা-কালো কর্তাদের চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপুল অংকের অর্থ। 15 কোটির দল গড়ে আই লিগ এসেছে। আইএসএলে লড়তে অন্তত 30 কোটি দরকার। লগ্নিকারী সংস্থা আশ্বস্ত করেছে। তাদের হাতে রয়েছে 51 শতাংশ অংশীদারিত্ব। বাকি 49 শতাংশ রয়েছে ক্লাবের হাতে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে চুক্তি অনুযায়ী মূল লগ্নিকারী সংস্থার হাতে চলে যাবে 61 শতাংশ অংশীদারিত্ব। দলের অন্দরমহলে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে সম্ভবত এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে সহযোগী লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ক্লাব কর্তারা।
আরও পড়ুন: