হায়দরাবাদ, 12 নভেম্বর: গোটা একটা বছর চোটের কারণে মাঠের বাইরে ৷ একজন পেশাদার ক্রিকেটারের জন্য এটা যে কত বড় যন্ত্রণার, সেটা গত এক বছরে টের পেয়েছেন মহম্মদ শামি ৷ মাঠে ফেরার মত পরিস্থিতির খুব কাছে এসেও পিছিয়ে যেতে হয়েছে ৷ তবে শেষমেশ বুধবার ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রস্তুত জাতীয় দলের পেসারের প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ ৷ হোক না রঞ্জি ট্রফি ৷ বাইশ গজে ফেরার আগের সন্ধেয় উচ্ছ্বাস গোপন রাখতে পারলেন না বঙ্গ পেসার ৷
বুধবার রঞ্জি ট্রফির পঞ্চম রাউন্ডের ম্য়াচে বাংলার হয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে নামছেন ডানহাতি পেসার ৷ 2019 বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবার বাইশ গজে নামছেন শামি ৷ ঠিক তার আগের সন্ধেয় ইন্দোরে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তিনি ৷ আর দলের সঙ্গে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিমানবন্দরের বেশ কিছু ছবি মঙ্গলবার সন্ধেয় টুইটারে পোস্ট করেন শামি ৷ সেই পোস্টের ক্য়াপশনে আবেগঘন 2023 বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেটশিকারি ৷
টুইটে শামি এদিন লেখেন, "অ্য়াকশনে ফিরছি ৷ 360 দিন সময়টা নেহাত কম নয় ৷ রঞ্জি ট্রফিতে মাঠে নামতে প্রস্তুত ৷ ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরতে চলেছি সেই পুরোনো আকাঙ্খা এবং এনার্জি সহযোগে ৷ আমার শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ সীমাহীন ভালোবাসা, সমর্থন এবং সাহস জুগিয়ে যাওয়ার জন্য ৷ মরশুমটাকে স্মরণীয় করে তোলা যাক ৷"
" back in action"
— 𝕸𝖔𝖍𝖆𝖒𝖒𝖆𝖉 𝖘𝖍𝖆𝖒𝖎 (@MdShami11) November 12, 2024
360 days is a long long time!! all set for the ranji trophy. now back on the domestic stage with the same passion and energy. huge thanks to all my fans for your endless love, support, and motivation,– let’s make this season memorable!#BackInAction #RanjiTrophy… pic.twitter.com/MyFCg03v9X
লন্ডনে গিয়ে হাঁটুতে অস্ত্রোপচার ৷ এরপর রিহ্যাবের মধ্যে দিয়ে সুস্থ হয়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা একপ্রকার নিশ্চিত ছিল মহম্মদ শামির ৷ তবে একশো শতাংশ ফিটনেস ছাড়া মাঠে নামার পক্ষপাতী ছিলেন না স্পিডস্টার ৷ এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখিও হয়েছে বিস্তর ৷ চোটের জায়গায় পুনরায় ব্যথা অনুভূত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য শেষমেশ শামিকে ছাড়াই স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিসিআই ৷ তবে বাংলার হয়ে খেলে নিজেকে প্রস্তুত করতে শামির কোনও সমস্য়া ছিল না ৷ বাস্তবে হল ঠিক সেটাই ৷
জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির সবুজ সংকেত পেলেই বাংলার হয়ে তিনি নামতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছিলেন শামি ৷ কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন তাঁর সঙ্গে ৷ কর্ণাটক ম্য়াচের পর দলকে উদ্বুদ্ধ করতে বাংলার সাজঘরেও পৌঁছে গিয়েছিলেন শামি ৷ সবমিলিয়ে জাতীয় দলের পেসারের বাংলার জার্সিতে ফেরা ছিল স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ৷ আগামিকাল সেই অপেক্ষার অবসান ৷