কলকাতা, 2 ফেব্রুয়ারি: রঞ্জি ট্রফিতে টস বিতর্ক ! রঞ্জি ট্রফির চলতি মরশুমে টস ঘিরে 'অন্যকিছু' ঘটছে বলে অভিযোগ তুললেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ৷ তাঁর দাবি, আর সেটা করছেন খোদ ম্যাচ রেফারি ! শুক্রবার ইডেনে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মুম্বইয়ের মুখোমুখি বাংলা ৷ সেই ম্যাচে অজিঙ্ক রাহানের বদলে শিবম দুবে মুম্বই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৷ মনোজ জানিয়েছেন, তাঁরা মুম্বইকে সামলাতে প্রস্তুত ৷ কিন্তু, সে সবের মাঝেই বাংলার ড্রেসিংরুম থেকে গত দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচের টসে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলা হয়েছে ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে ৷
মূলত অভিযোগ বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে হওয়া অসম বনাম বাংলা ম্যাচ নিয়ে ৷ মনোজের অভিযোগ, সেই ম্যাচে রেফারি অসম ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগকে দু’টি কয়েন দিয়েছিলেন ৷ আর বলেছিলেন, টসের জন্য যে কোনও একটি বেছে নিতে ৷ পুরোটাই বাংলার অধিনায়ক মনোজের সামনে হয়েছিল ৷ তিনি দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন ৷ বাংলার নেতৃত্বের ভার সামলাচ্ছেন ৷ আম্পায়ারের তরফে রিয়ান পরাগকে এই প্রস্তাব দিতে দেখে বিস্মিত হয়ে যান ৷
মনোজ অভিযোগ করেন, "টস নিয়ে অনেক নতুন নতুন কিছু দেখছি ৷ আমি তো ওয়ান-ডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ছিলাম না ৷ রঞ্জি ট্রফিতে চারটে ম্যাচ খেললাম ৷ প্রথম ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে দেখলাম, বিশেষ ধরনের কয়েন ব্যবহার করা হয়েছে ৷ অসম ম্যাচে দেখলাম আম্পায়ার হোম টিমের ক্যাপ্টেনের সামনে পাঁচটাকার দু’টি কয়েন দিয়ে একটা বেছে নিতে বলছেন ৷ যার একটা হালকা, আরেকটা ভারি ৷ হেভি কয়েন হলে হেড পড়ে ৷ আর হালকা কয়েনের ক্ষেত্রে টেল পড়ার একটা চান্স থেকে যায় ৷ ফলে এটা হোম টিমকে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে, যা দেখা উচিত ৷"
এর পাশাপাশি কনকাশন সাব নিয়মের অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মনোজ তিওয়ারি ৷ তিনি বলেন, "রঞ্জি ট্রফির আগে যাঁরা আইপিএলে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন তাঁরা ম্যাচে পুরোপুরি নিজেদের সেরাটা দিচ্ছেন না ৷ আইপিএলে খেলার আগে যদি চোট পেয়ে যাই, এই ভয়ে সামান্য হেলমেটে লাগলেই মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছে ৷ সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছে ৷ বিশেষত, যাঁরা সেঞ্চুরি করে টিমের হয়ে রান করে দিচ্ছেন, তাঁরা এটা করছে ৷ দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ছবি ৷ ফিল্ডিংয়ের সময় অসুবিধা হওয়ার অভিনয় করছেন ৷ কনকাশন নিয়মের অপব্যবহার করছেন ক্রিকেটাররাই ৷" মনোজ জানিয়েছেন, মরশুমের শেষে এই বিষয়গুলি বোর্ডের নজরে নিয়ে আসবেন তিনি ৷ তাঁর মতে, টস ও কনকাশন নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম থাকা উচিত ৷ তবে, তাঁর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোর্ডের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা, সেটাই দেখার ৷
আরও পড়ুন: