কলকাতা, 7 জুন: অবসরোত্তর জীবনে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন সুনীল ছেত্রী । বৃহস্পতিবার কুয়েত বনাম ভারত ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গেই প্রাক্তনীদের বন্ধনীতে ঢুকে গিয়েছেন তিনি । এবার তিনি বাংলার ফুটবলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হয়ে উঠুন, এটাই চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
দেশের জার্সিতে 19 বছরে 151টি ম্যাচে 94টি গোলের পরিসংখ্যান নিয়ে লেজেন্ডস লিডার ক্যাপ্টেন এখন ফর্মার ফুটবলার । মাঠ প্রদক্ষিণ করার সময় দর্শকদের ভালোবাসা সুনীল ছেত্রীকে আবেগতাড়িত করেছে । কেঁদে ফেলেন তিনি । সহযোদ্ধাদের গার্ড অব অনারের সামনে তিনি অশ্রুসজল । রাজ্য সরকারের তরফে সম্বর্ধনা মঞ্চে সুনীলকে সোনার হার উপহার দেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে এই উপহার ।
বৃহস্পতিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন সুনীল ছেত্রীকে । ফোনালাপের সময় এই রাজ্যে ফুটবলের জন্য কিছু করার জন্য সুনীলকে প্রথম প্রস্তাব দেন তিনি । বিষয়টি প্রথমে ক্রীড়ামন্ত্রী ফাঁস করেন সংবাদমাধ্যমে । পরে সুনীলও তা স্বীকার করেন । তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী খুব মিষ্টি ব্যবহারকারী মানুষ । আমাকে সবসময় সমর্থন করে এসেছেন । ভবিষ্যতে কিছু করলে জানাব ৷"
খেলা শেষে মাঠেই কেঁদে ফেলেন সুনীল ছেত্রী । সেই সময় সদ্য প্রাক্তন হয়ে পড়া ভারত অধিনায়কের মনের অবস্থা কেমন ছিল ? তাঁর কথায়, "কী বলব । কাঁদতে চাইছিলাম না । চোখে কিছু চলে গিয়েছিল ৷" আসলে ওই সময়ে মনের অবস্থার প্রসঙ্গটি তিনি এড়াতে চাইছিলেন । পরে অবেগ আটকে রাখার প্রশ্নটি ফের করা হলে সুনীল বলেন, "চেষ্টা করেছিলাম । ম্যাচ চলাকালীন সবকিছু ঠিক ছিল । তারপর হঠাৎই মনে হল আমি আর এই দলের সঙ্গে প্র্যাকটিস করব না । এই দলের হয়ে আর খেলব না । জীবনে অনেক কিছু পাওয়া না-পাওয়া থাকে । আমার পাওয়াটা এখানেই শেষ হল ।"