কলকাতা, 20 অক্টোবর: সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে থেকে আইএসএলে ছাপ ফেলার চেষ্টায় মহামেডান স্পোর্টিং। কিন্তু সেই ব্যবধান এতটাই বেশি যে ক্রমেই তা প্রকট হচ্ছে। রবিবার কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে 1-2 গোলে হারল আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেরা। লিগ টেবিলে রইল 11তম স্থানে। ম্যাচের ফলাফল ছাপিয়ে শিরোনামে উঠে এল দর্শক অশান্তি ৷
আজ 27 মিনিটে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল কাশিমভের। কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রত্যাঘাত 66 এবং 74 মিনিটে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে 66 মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান পেপরাহ। 74 মিনিটে কেরালাকে জয় এনে দেন জেমিনেজ। এই ম্যাচে জয় তুলতে পারলে মহামেডান 7 পয়েন্ট নিয়ে প্রথম ছয়ে ঢুকে পড়তে পারত।
মাঠে বিশৃঙ্খলা-
কিন্তু সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে বিরাট পার্থক্য দেখা গেল রবিবার সন্ধ্যায় ৷ আর সেটাই মহামেডান স্পোর্টিংকে দ্বিতীয় জয় পেতে দিল না। সেইসঙ্গে মহামেডান স্পোর্টিংয়ের গোদের ওপর বিষফোঁড়া গ্যালারি থেকে সমর্থকদের অশান্তি। যার ফলে 82 মিনিটে খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন রেফারি আশ্বিন। এগিয়ে থাকা অবস্থা থেকে হারের শঙ্কায় মহামেডান স্পোর্টিং সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। 72 মিনিটে বক্সের মধ্যে কেরালার ডিফেন্ডার ফ্রাঙ্কাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেও রেফারি পেনাল্টি দেননি।
ঠিক কী হয়?
এই সিদ্ধান্ত মহমেডান সমর্থকরা মেনে নিতে পারেননি। 74 মিনিটে কেরালা তাদের জয়সূচক গোল করে। ফলে দর্শকদের উত্তেজনা বাড়ে। এই গোলের কিছুক্ষণ পর থেকে সাদা-কালো সমর্থকরা মাঠে জলের বোতল ছুড়তে থাকেন। এমনকী কেরালা ব্লাস্টার্সের সমর্থনে মাঠে ভিড় করা শ'দেড়েক দর্শকের উদ্দেশ্যে বোতল ছুড়তে থাকেন সাদা-কালো সমর্থকরা। এর ফলে মিনিট পাঁচেক খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন রেফারি।
ফের ম্যাচ শুরু-
কেরালার এই দলটি আড্রেয়ান লুনা, জেমিনেজ, নোয়ার আক্রমণ দক্ষতার উপর নির্ভরশীল। শুরুতে এই তিন জনের ওপর কড়া নজরদারিতে মহামেডান কেরালাকে রুখে দিচ্ছিল। কিন্তু ডিফেন্ডার জোসেফ আদজেই চোট পেয়ে 17 মিনিটে মাঠ ছাড়তেই সাদা-কালো রক্ষণ আলগা হয়ে যায়। তবুও মাঝমাঠে কাশিমভ, আক্রমণে আলেক্সিস এবং ফ্রাঙ্কা দাপট দেখাচ্ছিলেন। রেমসাঙ্গা ও বিকাশ সিং দুই প্রান্ত ধরে প্রতিআক্রমণ পাল্টা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
বাকি সময়-
27 মিনিটে পেনাল্টি প্রাপ্তি এবং তা থেকে কাশিমভের গোলে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ম্যাচের রাশ কেরালার পায়ে চলে গিয়েছিল। বিরতির পরে আক্রমণের ঢেউয়ে সাদা-কালো রক্ষণকে কোণঠাসা করে দেয় কেরালা। ডিফেন্ডার কোয়েফের বদলে পেফরাহ নামতেই কেরালার আক্রমণে ঝাঁজ বাড়ে। 66 মিনিটে লুনার সেন্টার নোয়াহ নামিয়ে দিলে পিছন থেকে তাড়া করে এসে গোল করে যান পেপরাহ। 8 মিনিট পরে নাওচার সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে জয় নিয়ে এসে দেন জিমিনেজ। সারা ম্যাচে ভালো খেলার পুরস্কার যেন তাঁর ওই গোল।
খেলার ফলাফল-
এরপর মহামেডান মরিয়া হলেও তা থেকে গোল হয়নি। রেমসাঙ্গা ম্যাচের সংযোজিত সময়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। এই ব্যর্থতার সঙ্গে সাদা-কালো শিবিরের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। 5 পয়েন্ট নিয়ে 11 নম্বরে নেমে গেল মহামেডন স্পোর্টিং।