কলকাতা, 30 ডিসেম্বর: জল্পনাই সত্যি হল। আগামী 11 জানুয়ারি আইএসএলের ফিরতি ডার্বি সম্ভবত কলকাতায় হচ্ছে না। সোমবার নব মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী যা জানালেন, তার সারমর্ম সেটাই ৷ অরূপ বিশ্বাস এদিন সাংবাদিকদের জানান, পঁচিশ দিন আগে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ডার্বিতে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। ওই সময় গঙ্গাসাগর মেলার মত বড় আয়োজন রয়েছে ৷ পুলিশ ওই আয়োজনের জন্যই নিয়োজিত থাকবে।
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর কথার সত্যতা মেনে নিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। তাঁর কথায়, পুরো বিষয়টি এফএসডিএলকে (আইএসএল আয়োজক) জানানো হয়েছে। যদিও তাঁরা ডার্বির দিন পিছোতে রাজি নয়। বদলে অন্য রাজ্যে ডার্বি আয়োজনের ভাবনা চিন্তা চলছে। যদিও সুপার জায়ান্ট ম্যানেজমেন্ট এ রাজ্যেই 11 জানুয়ারি ডার্বি আয়োজনের চেষ্টা করে চলেছে।
11 জানুয়ারি বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বছরের প্রথম বড় ম্য়াচ আয়োজনে যে জটিলতা রয়েছে, তা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। ওই সময় গঙ্গাসাগর মেলা থাকায় ডার্বির নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজন রাজ্য করতে না-পারার জন্যই যাবতীয় সমস্যার শুরু। 2রা জানুয়ারি এবং 11 জানুয়ারি ঘরের মাঠে ম্যাচ আয়োজনের জন্য পুলিশি অনুমতি চেয়েছিল সুপার জায়ান্ট কর্তৃপক্ষ। 2রা জানুয়ারি হায়দরাবাদ ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত চলে এসেছে।
ডার্বি আয়োজনে কমবেশি 1200 পুলিশ দরকার হয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট মূল দায়িত্বে থাকলেও দুই 24 পরগনার পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের একাংশ নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর কাজে থাকে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও বিপুল সংখ্যক পুলিশের দরকার হয়। যার যোগান কেবল দক্ষিন 24 পরগনা পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর 24 পরগনা, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর থেকে সাহায্য নেওয়া হয়। আর গঙ্গাসাগর মেলায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েনের কারণেই 11 জানুয়ারি যুবভারতীতে দিতে পারছে না সরকার ৷