বেঙ্গালুরু, 13 সেপ্টেম্বর: “আমরা বেঙ্গালুরুর চ্যালেঞ্জ সামলাতে তৈরি । সুনীল ছেত্রী এবং পেরেরাকে নিয়ে ভাবার চেয়ে আমরা পুরো দলকেই গুরুত্ব দিচ্ছি । তিন পয়েন্ট পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী ,” কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পাশে বসে হিজাজি মাহেরের এই বক্তব্য এখন ইস্টবেঙ্গলের পুরো সাজঘরের ।
ডুরান্ড কাপের ব্যর্থতা সরিয়ে এখন আইএসএলে ভালো ফলই পাখির চোখ । ইস্টবেঙ্গল কোচ ইতিমধ্যেই বলেছেন, সুপার সিক্স তাদের প্রথম লক্ষ্য । তারপর বাকি চারটে ম্যাচের জন্য ঝাঁপাবেন । ধাপে ধাপে লক্ষ্যপূরণই এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য । নন্দকুমারের চোট নিয়ে যে খবর শোনা যাচ্ছে তা অমূলক বলছেন কুয়াদ্রাত । জাতীয় দলে খেলে আসার পরে সামান্য অস্বস্তির জন্যই সাবধানতা অবলম্বন করা হয়েছে । সেই কারণেই আইসপ্যাক বাধা হয়েছিল ।
নিশুকুমার এবং প্রভাত লাকড়া ছাড়া পুরো দলই ফিট । খেলার জন্য তৈরি। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে কুয়াদ্রাতের গতবছরের অভিজ্ঞতা ভালো নয় । খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল । যদিও সেই নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন লাল-হলুদের হেডস্যর । কান্তিরাভায় পাঁচ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতায় তিনি বেঙ্গালুরু এফসির অন্দরের খবর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল । নিজের মাঠে চেনা দর্শকের সামনে শিবাশক্তি, সুনীল ছেত্রীরা কতটা ভয়ঙ্কর তাও জানেন । সেই কারণেই সাবধানী পা ফেলতে চান ।
জয় দিয়ে আইএসএল শুরুর কথা বলার পাশাপাশি সাফল্যের জন্য বেশি সংখ্যক ম্যাচে গোল হজম না-করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কুয়াদ্রাত । ওড়িশা এফসি, জামশেদপুর এফসি, বেঙ্গালুরু, গোয়ার সাফল্য লুকিয়ে গোল হজম না-করাতেই । পাশাপাশি প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি গোল করার উপরও জোর দিচ্ছেন । গত চারবছরের তুলনায় এই বছর ইস্টবেঙ্গলে অনেক বেশি ভারসাম্য রয়েছে । আক্রমণ এবং রক্ষণের ভারসাম্যেই সাফল্যের পথ খুঁজতে চান কুয়াদ্রাত ।
ডুরান্ড কাপে একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করেও তার সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল । আইএসএলে সেই ভুল শুধরে নেওয়ার কথা বলেছেন ক্লেইটন সিলভা, ডেভিড, দিয়ামান্তোকোসরা । একইভাবে রক্ষণের সমস্যা দূর হওয়াও জরুরি । হিজাজি মাহের এবং ইউস্তের বোঝাপড়াতেই বেঙ্গালুরুর আক্রমণ রোখার টোটকা লুকিয়ে । দুই সাইডব্যাক হিসেবে রাওকিপ এবং লালচুননুঙ্গার জমাট হওয়া জরুরি । সব মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে ঘিরে গড়ে উঠতে চলা বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতেই বেঙ্গালুরুতে জয়ের কেতন ওড়াতে চান কুয়াদ্রাত ।