কলকাতা, 19 সেপ্টেম্বর: কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে মিনি ডার্বির দামামা । শুক্রবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মহমেডান স্পোর্টিং । কলকাতা লিগ খেতাবের দোড়গোড়ায় লাল-হলুদ ব্রিগেড । 14 ম্যাচে 39 পয়েন্ট ঝুলিতে । বাকি তিনটি ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট পেলেই খেতাব পকেটে পুরে ফেলবে বিনো জর্জের ছেলেরা ।
টানা দশ ম্যাচে অপরাজিত ইস্টবেঙ্গল জয়ের অভ্যাস বজায় রাখতে চায় । তাই শুক্রবারের মহমেডান স্পোর্টিং বা মঙ্গলবারের ডায়মন্ড হারবার এফসি ম্যাচে জয়ই পাখির চোখ জেসিন টিকে, আমন সিকে’দের । দলে চোট-আঘাত সমস্যা নেই । সমস্যা নেই কার্ডের । কোচ বিনো জর্জ বলছেন, ডার্বির গুরুত্ব সম্পর্কে দলের প্রতিটি ফুটবলার সচেতন । এখনও ট্রফির চিন্তা সাজঘরে নেই । প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোনোর ভাবনা নিয়েই মহমেডান স্পোর্টিং ম্যাচের ছক সাজাচ্ছেন বিনো জর্জ ।
প্রতিপক্ষ মহমেডান স্পোর্টিং খেতাবি দৌড়ে না-থাকলেও শুক্রবারের ম্যাচটি তাদের কাছেও সম্মান রক্ষার । তারাও যে মরিয়া লড়াই ছুঁড়ে দেবে ইঙ্গিত ইতিমধ্যে মিলেছে । তাই প্রতিপক্ষের সেরা চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে ধরে নিয়ে পালটা দিতে তৈরি ইস্টবেঙ্গলও । জেসিন টিকে, আমন সিকে, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পিভি বিষ্ণু, তন্ময় দাসরা প্রতিটি ম্যাচেই দাপুটে ফুটবল উপহার দিচ্ছেন । যা বিনো জর্জকে স্বস্তি দিলেও প্রতিপক্ষ শিবিরের চিন্তা বাড়াচ্ছে ।
দলের ধারাবাহিক ভালো ফুটবলের কথা মাথায় রেখেও ব্যক্তি নির্ভরতা নয়, দলগত সংহতির কথা বলছেন বিনো জর্জ । কোনও রাখঢাক না-করেই তিনি জানিয়েছেন, দল গোলের জন্য কোনও একজনের ওপর নির্ভরশীল নয় । দলের যে কেউ গোল করার ক্ষমতা রাখে । 14 ম্যাচে 39টি গোল করেছে ইস্টবেঙ্গল । পিভি বিষ্ণু এখনও পর্যন্ত 12টি গোল করেছেন এবং সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াইয়ে সবার আগে ।
শেষ ম্যাচে সুরুচি সংঘকে পাঁচ গোলে হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল । অন্যদিকে মহমেডান স্পোর্টিং শেষ ম্যাচে পরাজিত । ফলে মানসিকভাবে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকবে । যদিও বিনো জর্জ বলছেন, খেলা শুরুর সময় স্কোরবোর্ড শূন্য থাকে । তাই শূন্য থেকেই লড়াইটা শুরু করতে হয় । প্রতিটি প্রতিপক্ষ এবং ম্যাচ কঠিন । আত্মতুষ্টির জায়গা নেই । সেরা দল নামিয়ে জয়ই পাখির চোখ । মহমেডান স্পোর্টিংও খেতাবি দৌড়ে না-থাকলেও সম্মানের যুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলকে জায়গা দিতে নারাজ । তাই কলকাতা সুপার সিক্সের ডার্বি ঘিরে হঠাৎ করেই উত্তাপ বাড়ছে ।