কলকাতা, 12 জুন: ক্লাবের আর্থিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার দিকে জোর দিতে ইস্টবেঙ্গলের নবগঠিত কার্যকরী কমিটির বৈঠক। বুধবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে ঘোষিত হল লাল-হলুদের নয়া কার্যকরী কমিটি। 25 বছর পরে বদল এল সভাপতি পদে। প্রণব দাশগুপ্তর পরিবর্তে এলেন মুরারি মোহন লোহিয়া ৷
সবমিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রশাসনিক স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া । 22 বছর সচিব থাকার পরে স্বাস্থ্যজনিত কারণে সরে দাঁড়ালেন সচিব কল্যাণ মজুমদার । পরিবর্তে নয়া সচিব হলেন রূপক সাহা ৷ কল্যাণ মজুমদার পাঁচ সহ-সভাপতির বৃত্তে চলে এলেন। তবে চমক ঝুলন গোস্বামীর ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী কমিটিতে যোগদান। সহ-সচিব পদে ফিরলেন শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত । কার্যকরী কমিটিতে ফিরলেন সন্তোষ ভট্টাচার্য । ফুটবল সচিব ছিলেন সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় । এবারও তিনি একই দায়িত্বে। মাঠ সচিব রজত গুহ । ক্রিকেট সচিব সঞ্জীব আচার্য।
বৈঠক শেষে ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, "ফুটবল দল অনেক ভালো হবে । গত বছরের তুলনায় অনেক শক্তিশালী দল গঠন করা হচ্ছে । আমরা ধীরে ধীরে দলটার দিকে নজর দিচ্ছি । শুধু আইএসএলের দল নয় । যুব দলের দিকেও নজর দিচ্ছি । দেশের ফুটবল মানচিত্রটা বদলে গিয়েছে রাতারাতি । ফ্র্যাঞ্চাইজি-ফি দিয়ে খেলতে হচ্ছে । আমরা আমাদের পরিকাঠামো তা অন্যের হাতে তুলে দিইনি । আমাদের অস্তিত্ব বিক্রি করতে দিইনি । এই পরিকাঠামো রেখে আমরা উন্নতির দিকে এগোচ্ছি । অনেকটাই এগিয়েছি । সামনের বছর যতটা বাকি থাকবে তা পূরণ করব । পরিকাঠামোর উন্নতি বলতে অর্থকরী পরিকাঠামোর উন্নতির কথা বলছি । সহকারী স্পনসর জোগাড়ের চেষ্টা চলছে ।"
নতুন কমিটি গঠনের দিনই নতুন মরশুমের দল কেমন হবে তা নিয়ে অনেকেই জানতে আগ্রহী । এই নিয়ে দেবব্রত সরকারের বক্তব্য, "আমরা দল হিসেবে চেষ্টা করব আইএসএলে সুপার সিক্সে পৌঁছনোর। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো অনেক সময় পেয়েছে । আমাদের পড়শি ক্লাব অন্য একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের পরিকাঠামোর উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে । আমাদের তাই গড়ে তুলতে সময় দরকার ।"
দিমিত্রিয়স দিয়ামানতোকোসকে দলে নেওয়া হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নে সরাসরি উত্তর দেননি লাল হলুদের শীর্ষকর্তা । বলেছেন নির্দিষ্ট সময়ে জানানো হবে। নবগঠিত কার্যকরী কমিটির চ্যালেঞ্জ ইনভেস্টরের সম্পর্ক মসৃণ করা । ইস্টবেঙ্গল ক্লাব জানিয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে তারা আগামী সাতদিনের মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করবে ।