ভুবনেশ্বর, 19 জানুয়ারি: খেলে দেখুন, ইস্টবেঙ্গল বদলে গিয়েছে । প্রতিপক্ষকে পরোক্ষে এই হুমকি দিচ্ছে লাল-হলুদ ব্রিগেড । ভুবনেশ্বরে কলিঙ্গ সুপার কাপে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে 3-1 গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল এফসি । শেষ চারে প্রতিপক্ষ খালিদ জামিলের জামশেদপুর এফসি । ক্লেইটন সিলভা জোড়া গোল করে জয়ের নায়ক । তাঁর পাশে একইরকম উজ্জ্বল নন্দকুমার । গোলরক্ষায় সমুজ্জ্বল প্রোভসুখন গিল । পেনাল্টি বাঁচিয়ে তিনিও দলের জয়ের অন্যতম কারিগর । মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে একমাত্র গোল হেক্টর ইউস্তের ।
ডুরান্ড কাপের পরে সুপার কাপ । মাঝের সময়ে তিন সাক্ষাতে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গেল 2-1 ব্যবধানে । সুপার কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি বনাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দ্বৈরথ ছিল কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল । ড্র করলে শেষ চারের টিকিট মিলবে, এই অবস্থায় সুবিধাজনক জায়গায় থেকে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল । কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত আগেই জানিয়েছিলেন, তারা ড্র নয়, ম্যাচ জিতে শেষ চারে যেতে চান । অধিনায়ক ক্লেইটন সিলভা ডার্বিতে গোল করে নায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন । ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জোড়া গোল করে নায়ক ।
19 মিনিটে হেক্টর ইউস্তের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট । দিমিত্রি পেত্রাতোসের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার । পাঁচ মিনিটে প্রত্যাঘাত ইস্টবেঙ্গলের । শৌভিক চক্রবর্তীর পাস থেকে দলকে সমতায় ফেরান ক্লেইটন । এরপর দু'দলই আক্রমণ করতে থাকে । চলতে থাকে চোরাগোপ্তা ফাউল । বিরতির আগে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান । কিয়ান নাসিরি বল নিয়ে এগোনোর সময় বক্সের মধ্যে হাতে লাগে হিজাজি মাহিরের । রেফারি পেনাল্টি দিলেও তা থেকে গোল করতে পারেননি পেত্রাতোস । তাঁর শট দুরন্ত তৎপরতায় বাঁচান প্রোভসুখন গিল । এর আগে 29 মিনিটে নন্দকুমারকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেও রেফারি ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টির দাবি নাকচ করেন ।
বিরতির পরে লাল-হলুদ দাপট । 63 মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন নন্দকুমার । বোরহা হেরেরার শট বারে লেগে প্রতিহত হলে ফিরতি বল ফাঁকা গোলে জালে পাঠান নন্দকুমার । ডুরান্ড কাপের প্রথম ডার্বির পরে ফের গোল নন্দকুমারের । 80 মিনিটে হিজাজি মাহেরের হেড আর্শকুমার বাঁচালে ফিরতি বল জালে পাঠান ক্লেইটন । জয়ের হ্যাটট্রিক লাল-হলুদের । কুয়াদ্রাত ঠিকই বলেছেন, বদল হয়েছে তাদের খেলায় ।
আরও পড়ুন: