ETV Bharat / sports

সপ্তাহ না-ঘুরতেই মধুর বদলা, জুনিয়র লিগের ফিরতি ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের - Kolkata Derby

East Bengal vs Mohun Bagan: গত সপ্তাহেই পাঁচ গোল হজম করেছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ আর ডেভলপমেন্ট লিগে রবিবাসরীয় ফিরতি ডার্বিতে মধুর প্রতিশোধ নিল লাল-হলুদ। 1-5 গোলে হারের বদলা 2-0 ব্যবধানে বিনো জর্জের ছেলেরা ৷

Etv Bharat
গোলের পর সায়নের উচ্ছ্বাস
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 24, 2024, 7:45 PM IST

Updated : Mar 24, 2024, 7:57 PM IST

কলকাতা, 24 মার্চ: রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগের ফিরতি ডার্বিতে জয়ী ইস্টবেঙ্গল। হোক না ছোটদের ডার্বি, রবিবাসরীয় দুপুরে ডার্বি জয় সবসময়ই স্পেশাল। ফলত একদিন আগেই হোলিতে মাতলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সায়ন বন্দোপাধ্যায়ের প্রথম গোলের ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে গোল করেন শ্যামল বেসরা। মোহনবাগানকে হারিয়ে আত্মবিশবাস বাড়িয়ে নিল লাল-হলুদ।

গত সপ্তাহে মোহনবাগানের কাছে লজ্জার হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ছোটদেরকে হারিয়ে মূলপর্বে যাওয়া নিশ্চিত করেছিল। আর এরপরেই ফিরতি ডার্বিতে জয় যেন ঘুরে দাঁড়ানোরই নামান্তর। সুপার ফোরের ম্যাচে এদিন ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে সুহেল ভাটদের বিরুদ্ধে দাপট দেখালেন সায়ন বন্দোপাধ্যায়রা। এদিন বিনোর ছেলেদের খেলা দেখে মনে হয়নি কয়েকদিন আগের ডার্বিতে পাঁচ গোল হজম করেছিল এবং তা নিয়ে চাপে রয়েছে তারা। উলটে আক্রমণের চাপ বেশি ছিল ইস্টবেঙ্গলের।

পুরো 90 মিনিট নিয়ন্ত্রণ করল লাল-হলুদই। আক্রমণের চাপের ফসল হিসেবে থেকে গোলও প্রথমার্ধেই গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু রেফারি সেই গোল নাকচ করেন। পরে যদিও ছবিতে দেখা যায়, বলটা ক্রসবারে লেগে গোলের মধ্যেই পড়েছিল। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক এবং সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় রেফারিকে নিয়ে সমালোচনা। গ্যালারিতে চলতে থাকে রেফারিকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ। আগের ডার্বিতে দলে ছিলেন না। রবিবার প্রথম থেকে শুরু করেই দলের আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

61 মিনিটে লাল-হলুদের হয়ে গোল করেন সিনিয়র দলের হয়ে ভালো খেলা এই টিনেজার ফুটবলারটি। শুরু থেকেই বেশ ছটফট করছিলেন আসানসোলের এই মিডফিল্ডার। তাঁকে সামলাতে বারবার সমস্যায় পড়ছিল সবুজ-মেরুন রক্ষন। কখনও একাধিক প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে যাওয়া হোক, বা সতীর্থের উদ্দেশ্যে মাপা সেন্টার সবেতেই পরিণতির ছাপ, তা ফের জানান দিলেন তিনি। 79 মিনিটেও তার বাড়ানো ক্রস থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। তা থেকে গোল হলে বাকি 10মিনিট অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে হত না লাল-হলুদ ডিফেন্সকে।

ম্যাচের 83 মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। প্রতিআক্রমণে সুযোগ এসে যায় মেরিনার্সদের কাছে। তবে সেখান থেকে গোল হয়নি। দারুণ সামলান করেন আদিল অমল। ম্যাচের শেষ দিকে ইনজুরি টাইমে আসে দ্বিতীয় গোল। শ্যামল বেসরা ব্যবধান বাড়ান। এর মধ্যেই পেনাল্টি পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি মোহনবাগান। ফলে বলাই যায় ডার্বি হারের ক্ষত ভুলে ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণের দাপট ক্রীড়া নৈপুণ্য পেনাল্টি বাঁচানো সব বিভাগেই চিরপ্রতিপক্ষকে টেক্কা দিল ৷

আরও পড়ুন:

  1. বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের মঞ্চে 150তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামছেন ছেত্রী
  2. বিশ্বকাপ যোগ্যতাঅর্জনে গ্রুপে দ্বিতীয়স্থানে ভারত, আফগানদের বিরুদ্ধে সুনীলদের ম্যাচ গোলশূন্য
  3. রেফারিং নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ কুয়াদ্রাতের, প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইলেন লাল-হলুদের হেডস্যর

কলকাতা, 24 মার্চ: রিলায়েন্স ডেভলপমেন্ট লিগের ফিরতি ডার্বিতে জয়ী ইস্টবেঙ্গল। হোক না ছোটদের ডার্বি, রবিবাসরীয় দুপুরে ডার্বি জয় সবসময়ই স্পেশাল। ফলত একদিন আগেই হোলিতে মাতলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। সায়ন বন্দোপাধ্যায়ের প্রথম গোলের ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে গোল করেন শ্যামল বেসরা। মোহনবাগানকে হারিয়ে আত্মবিশবাস বাড়িয়ে নিল লাল-হলুদ।

গত সপ্তাহে মোহনবাগানের কাছে লজ্জার হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মহামেডান স্পোর্টিংয়ের ছোটদেরকে হারিয়ে মূলপর্বে যাওয়া নিশ্চিত করেছিল। আর এরপরেই ফিরতি ডার্বিতে জয় যেন ঘুরে দাঁড়ানোরই নামান্তর। সুপার ফোরের ম্যাচে এদিন ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে সুহেল ভাটদের বিরুদ্ধে দাপট দেখালেন সায়ন বন্দোপাধ্যায়রা। এদিন বিনোর ছেলেদের খেলা দেখে মনে হয়নি কয়েকদিন আগের ডার্বিতে পাঁচ গোল হজম করেছিল এবং তা নিয়ে চাপে রয়েছে তারা। উলটে আক্রমণের চাপ বেশি ছিল ইস্টবেঙ্গলের।

পুরো 90 মিনিট নিয়ন্ত্রণ করল লাল-হলুদই। আক্রমণের চাপের ফসল হিসেবে থেকে গোলও প্রথমার্ধেই গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু রেফারি সেই গোল নাকচ করেন। পরে যদিও ছবিতে দেখা যায়, বলটা ক্রসবারে লেগে গোলের মধ্যেই পড়েছিল। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক এবং সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় রেফারিকে নিয়ে সমালোচনা। গ্যালারিতে চলতে থাকে রেফারিকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ। আগের ডার্বিতে দলে ছিলেন না। রবিবার প্রথম থেকে শুরু করেই দলের আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।

61 মিনিটে লাল-হলুদের হয়ে গোল করেন সিনিয়র দলের হয়ে ভালো খেলা এই টিনেজার ফুটবলারটি। শুরু থেকেই বেশ ছটফট করছিলেন আসানসোলের এই মিডফিল্ডার। তাঁকে সামলাতে বারবার সমস্যায় পড়ছিল সবুজ-মেরুন রক্ষন। কখনও একাধিক প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে যাওয়া হোক, বা সতীর্থের উদ্দেশ্যে মাপা সেন্টার সবেতেই পরিণতির ছাপ, তা ফের জানান দিলেন তিনি। 79 মিনিটেও তার বাড়ানো ক্রস থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। তা থেকে গোল হলে বাকি 10মিনিট অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে হত না লাল-হলুদ ডিফেন্সকে।

ম্যাচের 83 মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। প্রতিআক্রমণে সুযোগ এসে যায় মেরিনার্সদের কাছে। তবে সেখান থেকে গোল হয়নি। দারুণ সামলান করেন আদিল অমল। ম্যাচের শেষ দিকে ইনজুরি টাইমে আসে দ্বিতীয় গোল। শ্যামল বেসরা ব্যবধান বাড়ান। এর মধ্যেই পেনাল্টি পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি মোহনবাগান। ফলে বলাই যায় ডার্বি হারের ক্ষত ভুলে ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণের দাপট ক্রীড়া নৈপুণ্য পেনাল্টি বাঁচানো সব বিভাগেই চিরপ্রতিপক্ষকে টেক্কা দিল ৷

আরও পড়ুন:

  1. বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের মঞ্চে 150তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে নামছেন ছেত্রী
  2. বিশ্বকাপ যোগ্যতাঅর্জনে গ্রুপে দ্বিতীয়স্থানে ভারত, আফগানদের বিরুদ্ধে সুনীলদের ম্যাচ গোলশূন্য
  3. রেফারিং নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ কুয়াদ্রাতের, প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইলেন লাল-হলুদের হেডস্যর
Last Updated : Mar 24, 2024, 7:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.