কলকাতা, 9 অগস্ট: লাল-হলুদ ধাক্কায় বেলাইন ইস্টার্ন রেলওয়ে । 3-0 গোলে জয় তুলে নিয়ে কলকাতা লিগে জেতার অভ্যাস বজায় রাখল ইস্টবেঙ্গল । পুরো ম্যাচে গোল সংখ্যা আরও বাড়ত যদি না লাল-হলুদ ফুটবলাররা একাধিক সুযোগ নষ্ট করতেন ।
ডার্বি জয়ের পর খেই হারালেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিনো জর্জের ছেলেরা । মহম্মদ মুশারফ, আমন সিকে, জেসিন টিকের গোলে অনায়াসে জয় তুলে নিল ইস্টবেঙ্গল । এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে চলে গেল তারা ।ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ ছিল লাল-হলুদের। শুরু থেকে ক্রমাগত আক্রমণে গোলের পরিস্থিতি তৈরি করলেও স্ট্রাইকাররা গোল করতে পারেননি । ম্যাচের 32 মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম গোল মহম্মদ মুশারফের । বক্সের ভিতর বল পেয়ে ডান পায়ে দুরন্ত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি । নতুন মরশুমে যুব ফুটবলাররা ইস্টবেঙ্গলের অহঙ্কার, প্রতিপক্ষের দুঃস্বপ্ন । ফলে শক্তিশালী ডাগ-আউটের হাত ধরে কলকাতা লিগে দাপট দেখিয়ে চলেছে তারা ।
প্রথম গোলের দশ মিনিট পরে ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল । 42 মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে গোল আমন সিকের । গতি এবং নিয়ন্ত্রণের মিশেলে আমন সিকে'র গোল। ডুরান্ড কাপের সিনিয়র দলেও রয়েছেন আমন সিকে । সেখানেও তাঁর পারফরম্যান্স উজ্জ্বল। আমন সিকে'কে সিনিয়র দলে কার্লেস কুয়াদ্রাত রেখে ভুল করেননি তা প্রমাণিত ।
বিরতির আগে দু'টো গোল । মনে হয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে সংখ্যা বাড়বে । কিন্তু এল মাত্র একটা । এক্ষেত্রেও সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনী । ফলে তৃতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল 77 মিনিট পর্যন্ত । গোলদাতা জেসিন টিকে । ডানদিক থেকে বল নিয়ে একক দক্ষতায় রেলের বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি । এরপর বিপক্ষের ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তিনি বাঁ-পায়ে শট নিয়ে গোল করেন । একাধিক সুযোগ নষ্ট যদি ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সের অন্ধকার দিক হয়, তাহলে বিনো জর্জকে স্বস্তি দেবে তিনটে গোল, যা অনবদ্য দক্ষতার সাক্ষ্য ।
সামনে এএফসি কাপের ম্যাচ এবং ডুরান্ড ডার্বি। গত চারবছরের তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের দল শক্তিশালী । সেখানে নামজাদা বিদেশিদেরও চ্যালেঞ্জ ছোঁড়ার পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছেন তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলাররা । যা শুধু ইস্টবেঙ্গল দলের জন্য ভালো খবর নয়, ভারতীয় ফুটবলের জন্যও স্বস্তির । ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে শুক্রবারের তিন গোলে জয়ে গ্রুপ বি'তে শীর্ষে ইস্টবেঙ্গল । 7টা ম্যাচ খেলে 6 জয় এবং একটাতে ড্র করে তাদের পয়েন্ট 19 । একই সংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বর স্থানে রয়েছে ভবানীপুর ও ক্যালকাটা কাস্টমস ।