নয়াদিল্লি, 13 সেপ্টেম্বর: আনোয়ার আলির নির্বাসনে স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টে ৷ ফলে শনিবার আনোয়ারকে রেখেই প্রথম একাদশ সাজানোর সুযোগ পেতে পারেন কার্লেস কুয়াদ্রাত । দিল্লি হাইকোর্ট সূত্রে খবর, ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটি’কে আনোয়ার আলি ইস্যুতে ফের মামলা শুনতে বলেছে আদালত ৷
এআইএফএফ আইনজীবী আদালতে জানান, আনোয়ার বিতর্কে অভিযোগগুলি লিখিত নয় ৷ পালটা আদালত প্রশ্ন তোলে, লিখিত কারণ ছাড়া কীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় । দিল্লি এফসি’র কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ এক এক্স পোস্টে দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান ৷ যদিও ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাদের কাছে এখনও কোনও নথি এসে পৌঁছয়নি ৷
To everyone who was jumping with joy too soon - money and undue influence does not win everytime - Jutsice will be served - Always trusted the courts more than AIFF and always got justice from them 🙏🏽❤️🇮🇳 ORDER STAYED @IndSuperLeague @eastbengal_fc @IndianFootball pic.twitter.com/2dxao2SfZ4
— Ranjit Bajaj (@THE_RanjitBajaj) September 13, 2024
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই ফেডারেশন জানিয়ে দেয়, মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি বাতিল করায় আগামী চার মাসের জন্য নির্বাসিত হয়েছেন ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার। পাশাপাশি মোহনবাগানকে 12.90 কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে আনোয়ার, ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি-কে। সেই সঙ্গেই আগামী দু'টি ট্রান্সফার উইন্ডো থেকে নতুন কোনও ফুটবলারকেও সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি।
তারপরেই ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আনোয়ার আলি। শুধু তাই নয়, দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসিও । স্থগিতাদেশ পেলেই আনোয়ারের আইএসএলে খেলতে কোনও বাধা থাকবে না। ফলে হাইকোর্ট শেষ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিলে আনোয়ারকে লাল-হলুদ জার্সিতে শনিবারই দেখা যেতে পারে । বিতর্কের মধ্যেই চুটিয়ে প্র্যাকটিসও করছেন আনোয়ার । পরিস্থিতি যা তাতে কার্লেস কুয়াদ্রাত আনোয়ার আলিকে রেখেই প্রথম একাদশ সাজানোর সুযোগ পেতে পারেন ।