কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি: জয়ের আবির মেখে ক্রিকেট বুট তুলে রাখলেন মনোজ তিওয়ারি। প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বিহার। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল 95 রানে। দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হল 112 রানে। শনিবারের 32 রানে এক উইকেট নিয়ে রবিবার খেলা শুরু করে মাত্র 80 রানে বাকি 9 উইকেট পড়ে যায়। সোয়া দু'দিনে 204 রান এবং এক ইনিংসে জয় বাংলাকে সাত পয়েন্ট এনে দিল। কিন্তু তা কাজে এল না। 19 পয়েন্টে রঞ্জি মরশুম শেষ করল বাংলা।
কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলছেন উত্তরপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় ম্যাচে আবহাওয়া প্রতিবন্ধক না-হলে বি গ্রুপ থেকে মুম্বই এবং বাংলা নকআউটে যেত। কোচের কথায় যুক্তি থাকলেও বাংলার এই ব্যর্থতায় আবহাত্তয়ার প্রতিবন্ধকতাই একমাত্র কারণ নয়। ওপেনারদের পারফরম্যান্স, বোলারদের সম্মিলিত ব্যর্থতা বাংলার এই বছরের পতনের কারণ। লক্ষ্মীরতন শুক্লা মানছেন সমস্যা রয়েছে। তাঁরা তা দূর করার চেষ্টা করছেন। বর্তমান দলে যাঁরা খেলছেন তাঁরা সকলেই ক্লাব ক্রিকেটে রান করে এসেছেন।
আপাতত বাংলা দলে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সকলেই লম্বা রেসের ঘোড়া। মনোজের মঞ্চে অভিমন্যু ঈশ্বরণের ডবল সেঞ্চুরি এবং মুকেশ কুমারের দুই ইনিংস মিলিয়ে দশ উইকেট ও সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের 8 উইকেট সমানভাবে উজ্বল। তবে রবিবাসরীয় ইডেনে ক্রিকেট মঞ্চ মনোজ তিওয়ারির বিদায় বেলার দুঃখে মাখা। ব্যাট করে ফেরার সময় সতীর্থরা করিডর করে সম্মান দেখিয়েছিলেন। রবিবার ম্যাচ শেষে সতীর্থরা কাঁধে করে ঘোরালেন। সেই বিদায়ী যাত্রায় সামিল প্রতিপক্ষ বিহারও।
বাংলা দলের তরফে সতীর্থদের সই করা বাংলার জার্সি এবং একটি গ্রুপ ছবি তুলে দেওয়া হয়। মনোজ তাঁর কুড়ি বছরের ক্রিকেট জীবনের শেষে বাইশ গজকে চুম্বন এবং প্রণাম করে ইডেন থেকে বেরিয়ে গেলেন। সম্পূর্ণ আবেগঘন আবহে মনোজ তিওয়ারিও নস্ট্যালজিক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে 10 হাজার রানের মালিকের প্রস্থানে পরবর্তী ব্যাটন কার হাতে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে ৷
আরও পড়ুন: