কলকাতা, 4 ফেব্রুয়ারি: জাতীয় গেমসের আসরে 200 মিটার ব্যাকস্ট্রোকের পর 100 মিটার ব্যাকস্ট্রোকেও সোনা জয় বাংলার সৌবৃতি মণ্ডলের ৷ উত্তরাখণ্ডের ঠান্ডা সামলে সোনাজয়ের হ্যাটট্রিকে নজর থাকলেও 50 মিটার ব্যাকস্ট্রোকে অবশ্য রুপো জিতলেন বাংলার মহিলা সাঁতারু। তাই সোনার হ্যাটট্রিক না-হলেও পদকের হ্য়াটট্রিক হল সৌবৃতির ৷ বছর দেড়েক আগে গোয়ায় জাতীয় গেমসে জোড়া রুপো জিতেছিলেন তিনি ৷ তবে সৌবৃতির সাফল্য যদি প্রদীপের আলো হয়, তাহলে তার নীচে অন্ধকারের মতই জাতীয় গেমসের আসরে ডামাডোল বাংলার সাঁতার শিবিরে ৷ শনিবার 200 মিটার মহিলা রিলেতে দলই নামল না বাংলার ৷
প্রতিযোগীরা পারস্পরিক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ায় মহিলা রিলে দলকে রিলেতে নামতেই দেওয়া হয়নি বলে খবর ৷ কিন্তু ইটিভি ভারতের তরফে বেঙ্গল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামানপুজ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "দলটা নামেনি কারণ দরকার ছিল না। এন্ট্রিটা ভুল গিয়েছিল। এই ভুলের দায় আমার।" কিন্তু কর্তাদের ভুলে পদকের সম্ভাবনা এবং সুযোগ নষ্ট কোনওভাবেই তো বাংলার সাঁতারের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয়।
কথাটা শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন রামানুজ বাবু ৷ তিনি বলেন, "কীসের পদক। এই গল্পগুলো কারা করে? যারা এই গল্প করে তারা কখনও সাঁতার কাটেনি। জলেও নামেনি। ডাঙায় সাঁতার কাটে। ইতিবাচককে নেতিবাচক করে দেখানোর জন্য বাংলায় আছে। গতবছর একটাও পদক পাইনি আমরা। এবার দু'টো সোনা পেয়েছি। পশ্চিমবঙ্গে সাঁতারের কোনও পরিকাঠামো নেই। ছেলেমেয়েরা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে গিয়েছে। তারমধ্যে থেকেও ছেলেমেয়েরা করছে। গতবছর পদক পায়নি। এবার পেয়েছে। ইতিবাচক দিক থেকে নেতিবাচক দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।"
তিনি আরও জানান, সুইমিং ফেডারেশনের প্রতিযোগিতায় দল তুলে নিলে জরিমানা দিতে হয়। জাতীয় গেমসে জরিমানা নেই তাই দল তুলিনি। দল না-নামলে জাতীয় মিটে ম্যানেজারদের মিটিংয়ে দল তুলে নিতে হয় ৷ রাজ্য সাঁতারের এই ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সরব সচিব কঙ্কন পানিগ্রাহী। তিনি বলছেন, "কোম্পানি চলছে। কোম্পানির মালিক সব জানে। আমি অ্যাসোসিয়েশনের সচিব, আমি জানি না কারা কারা জাতীয় গেমসে গেল। জাতীয় গেমসে কোচ কে, ম্যানেজার কে হল, আমি জানি না।" তাঁর কথায়, "পৈতৃক সম্পত্তির ব্যাপারেও দুই ভাই থাকলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে তাও হয় না। কতগুলো অপদার্থকে রেখেছে। যারা গেঞ্জি-ব্লেজার পেলেই খুশি। তাই যা হওয়ার তাই হচ্ছে।" সচিবের এই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে সভাপতি বলছেন, "গত তিনবছরে সচিব তো সংস্থার অফিসেই আসেননি। উনি তো আবার জলের তলার খেলার সংস্থার সঙ্গে রয়েছেন।"