কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: আনোয়ার আলিকে ইস্টবেঙ্গলে সই করতে বাধা না-দিলেও মোহনবাগানের সঙ্গে ফুটবলারের চুক্তি ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি যে নিয়মের পরিপন্থী ছিল, তা আগেই জানিয়েছিল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি ৷ ফলত অপেক্ষা করছিল জরিমানা এবং নির্বাসন ৷ কিন্তু শাস্তি কিংবা জরিমানা যে এতটা সাঙ্ঘাতিক হবে, তা হয়তো ভাবেনি ইস্টবেঙ্গল কিংবা আনোয়ার আলি ৷ মঙ্গলবার অন্যায্য উপায়ে মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে চার মাস নির্বাসিত হলেন আনোয়ার আলি ৷ সঙ্গে চরম শাস্তির মুখে পড়ল ইস্টবেঙ্গল ৷ বাদ গেল না আনোয়ারের পেরেন্ট ক্লাব দিল্লি এফসি'ও ৷
ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্য়াটাস কমিটি যে শাস্তির ঘোষণা আজ করেছে তাতে আনোয়ারকে নির্বাসনের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি'কে পরবর্তী দু'টি ট্রান্সফার উইন্ডোতে ব্য়ান করেছে পিএসসি ৷ অর্থাৎ, আগামী জানুয়ারিতে এবং পরবর্তী সামার ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোনও নতুন ফুটবলারকে দলে নিতে পারবে এই দুই ক্লাব ৷ এখানেই শেষ নয় ৷ আনোয়ার, দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গলকে মিলে বড় অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে মোহনবাগানকে। অঙ্কটা 12 কোটি 90 লক্ষ টাকা ৷ যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে ফিফায় যেতে পারে সব পক্ষ ৷
Anwar Ali banned for FOUR months
— Marcus Mergulhao (@MarcusMergulhao) September 10, 2024
East Bengal and Delhi FC banned from registering
any new players for TWO registration periods
Mohun Bagan Super Giant eligible for COMPENSATION of Rs 12.9 crore, to be paid by Anwar, East Bengal and Delhi FC.#IndianFootball
শাস্তি যে হতে চলেছে তা ধরে নিয়ে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিছুদিন আগেই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা । সেই মোতাবেক তারা আবেদন করেন কি না, সেটাই এখন দেখার। সবমিলিয়ে আইএসএল শুরুর ঠিক আগে আনোয়ার ইস্যুতে যে বড়সড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল, তা বলাই যায় ৷
আইএসএল শুরু হতে হাতে মাত্র তিনদিন। 14 সেপ্টেম্বর ইস্টবেঙ্গল তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে। আনোয়ার আলির উপর 4 মাসের নিষেধাজ্ঞার অর্থ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয়া ডিফেন্ডারকে পাবেন না কার্লেস কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গল প্লে-অফে পৌঁছতে না-পারলে হাতে গোনা কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন জাতীয় দলের ডিফেন্ডার ৷ ফলে তিনি যে আবেদনের পথে হাঁটবেন, তা ধরে নেওয়াই যায়। আর আবেদনের ফয়সালা যতদিন না-হচ্ছে ততদিন আনোয়ার খেলবেন ধরে নেওয়া যায়। ফলে শাস্তি ঘোষণা হল, কিন্তু বিতর্ক দীর্ঘায়িত হল বলে মনে করছেন ময়দান বিশেষজ্ঞরা ৷