কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: 15 ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং শংকর ঘোষ । বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই বিষয় নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী । এই মামলার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়েছে ৷ শুনানি হবে আজ দুপুর দুটোয় ।
গতকাল সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা দেওয়া হয় পুলিশের তরফ থেকে । বিজেপির বিধায়করা সন্দেশখালির পথে রওনা হলে সায়েন্স সিটির সামনে তাঁদের বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ । তবে,শাসক দলের প্রতিনিধিদের যেতে দেওয়া হচ্ছে বলে এ দিন আদালতে মন্তব্য করেন আইনজীবী । সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা এবং বিধায়ক শংকর ঘোষ ।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সোমবার । কিন্তু পুলিশ তাঁদের সায়েন্স সিটির কাছে আটকে দেয় । তবে যাওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন বিজেপি বিধায়করা ৷ এই নিয়ে গতকাল ধুন্ধুমার বাঁধে ৷
পাশাপাশি 'সন্দেশখালির পাশে আছি' লেখা টিশার্ট গায়ে চড়িয়ে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভায় আসায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খুলে ফেলতে নির্দেশ দেন । কিন্তু বিরোধী বিধায়করা তা মানতে চাননি ৷ তাঁরা হই-হট্টগোল শুরু করে দেন ৷ স্লোগান দিতে থাকেন ৷ বাঁশি বাজিয়ে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান ৷ সেই সময় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে মণিপুরের পরিস্থিতি উল্লেখ করে বিজেপির বিরুদ্ধে পালটা স্লোগান দেওয়া হয় ৷ এর পর বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা ৷ তার পরই বিরোধী দলনেতা-সহ ছয় বিজেপি বিধায়ককে সাসপেনন্ড করেন স্পিকার ৷
আরও পড়ুন: