কলকাতা, 11 মার্চ: রবিবার ব্রিগেডের জনগর্জন সভা থেকে 42 আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । তারপর থেকেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে 'ইন্ডিয়া' জোটের শরিক কংগ্রেস মুখ খুলেছে । কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, জোট নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে, সেখানে একতরফাভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা ঠিক হয়নি । শুধু জয়রাম রমেশ নন, মুখ খুলেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীও । তাঁর নির্বাচনীক্ষেত্রে প্রাক্তন ভারতীয় খেলোয়াড় ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি । সোমবার কংগ্রেসের এই সব প্রতিক্রিয়ার পালটা জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ।
এ দিন সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে সুখেন্দুশেখর একহাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ৷ ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে অধীরের মন্তব্য তাঁর রাজনৈতিক হতাশার বহিঃপ্রকাশ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা । তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জোটের জন্য দরবার করছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী তখন লাগাতার তাঁর বিরোধিতা চালিয়ে গিয়েছেন । আজ তাঁর মুখে উলটো সুর কেন ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের পাঁচটি বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ৷ সেখানে বারবার বলা হয়েছিল যে, রাজ্যে যে দল শক্তিশালী তাকে সামনে রেখে জোটের আলোচনা শুরু হোক সময় থাকতে । ডিসেম্বর মাস পেরিয়ে গিয়েছে, আজ মার্চ মাসের পরেও কথা চলছিল । কিন্তু এই আলোচনা চলাকালীন বিগত তিন মাস অধীররঞ্জন চৌধুরীর সিপিএম এবং বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে যতরকম ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা যায় তা তিনি করেছেন । এরপরেও জাতীয় কংগ্রেস বলছে, তারা আন্তরিকভাবে জোট করার চেষ্টা করছে, এটা হাস্যকর ।"
এ দিন সরাসরি অধীরের বক্তব্যকে প্রলাপ বলে দাবি করেছেন এই বর্ষীয়ান নেতা । তাঁর ভাষায়, "অধীর চৌধুরী একা জিততে চেয়েছিলেন, বাকি সবাই হেরে যাক । আর এটা করতে গিয়েই স্বাধীনতার পর নিজের দলকে শূন্যে নামিয়ে এনেছেন বাংলায় । গতকাল ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে ওঁর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে । রাতে ঘুম হয়নি ৷ সকাল থেকে আবোল তাবোল বকছেন ।"
আরও পড়ুন: