দক্ষিণ দিনাজপুর, 22 মার্চ: বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডীকাটানো হয়েছিল ৷ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে সেই ঘটনায় ফের মনে করালেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার ৷ বৃহস্পতিবার তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শনকৈর এলাকায় প্রচারে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ফের একবার দণ্ডীকাণ্ডের ঘটনাটি তুলে ধরলেন ৷
লোকসভা ভোটের আগে এই ইস্যুতেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার । তাঁর কথায়, "বিপ্লব মিত্রও তো বিজেপি থেকে আবার তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন। তাহলে তাঁকে কেন দণ্ডী কাটিয়ে ফেরানো হল না ? আদিবাসী মহিলাদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম, বিপ্লব মিত্রের ক্ষেত্রেও তো একই নিয়ম করা উচিত । আদিবাসী বলে তাদের ফেরাতে দণ্ডী কাটানো হল ?"
এই বিষয়ে অবশ্য দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল জানান, দণ্ডীকাণ্ডের ঘটনা সম্পূর্ণ তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয় ৷ এই দণ্ডীকাণ্ডটাকে তৃণমূল অস্বীকার করে । এছাড়াও দণ্ডীকাণ্ডের ঘটনা যারা ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে এক ঘণ্টার মধ্যেই শাস্তির ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল । এছাড়া এই বিষয়ে নজর না দিয়ে সুকান্তবাবু এখনও 42টা প্রার্থী দিতে পারল না সে বিষয়ে নজর দিন ৷ আমরা প্রতিপক্ষ খুঁজছি । তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট অংশ নিয়ে বিজেপি চলে । অর্জুন সিংকে কীভাবে স্বাগত জানাবে, তাপস রায়কে কীভাবে স্বাগত জানাবে বা অতীতের শুভেন্দু অধিকারীকে কীভাবে স্বাগত জানিয়েছে সে বিষয়ে নজর দিলেই বেশি ভালো হয় ।
প্রসঙ্গত, এই গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শনকৈর এলাকা থেকেই তিন আদিবাসী মহিলাকে পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে তৎকালীন জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডী কাটানোর অভিযোগ ওঠে । এই মহিলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন এবং পরবর্তী সময়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে নিয়ে আসার সময়ে তাদের বালুরঘাট শহরের রাস্তায় দণ্ডী কাটানো হয় প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে । সেই খবর প্রচার হতেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে । বিজেপি অভিযোগ তোলে, আদিবাসীদের হীন চোখে দেখে তৃণমূল কংগ্রেস আর সেই কারণেই আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডী কাটানো হয়েছিল ।
আরও পড়ুন :