কলকাতা, 31 মার্চ: আসন নিয়ে বোঝাপড়া সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে না-পারায় বহু আসনে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি বাম ও কংগ্রেস উভয় পক্ষ । তবে সেই জটের থেকেও বড় জটিল অবস্থা ঘোষিত আসন নিয়ে । কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন জেলা স্তরের নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন । মূলত বামেরা তাদের বেশ কিছু আসনে একতরফা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে । তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বা তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভ নয় বরং সমঝোতার পথেই হাঁটতে চাইছে । আর সেই নিয়েই এ বার অধীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দলের একাংশের ।
2016 সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে কি না সেটা নিয়ে সিপিএম দুভাগ হয়ে গিয়েছিল । একপক্ষ ছিল জোটপন্থী, অন্য পক্ষ জোট বিরোধী । এ বার সেই ছবি ফুটে উঠছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে । তবে সিপিএমের বিক্ষুব্ধদের ক্ষোভ কখনওই প্রকাশ্যে আসেনি ৷ সেটা একেবারেই অভ্যন্তরে থেকেছে । এমনকি বিরোধীপক্ষ ইচ্ছের বিরুদ্ধে হলেও দলের সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দিয়েছে ।
কিন্তু কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা এক্কেবারে সমাজ মাধ্যমে মাঝে মধ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন । সম্প্রতি কলকাতা দক্ষিণে সিপিএম প্রার্থী দেওয়ায় সেখানকার কংগ্রেস নেতৃত্ব ক্ষোভ প্রকাশ করে । একাংশ দাবি করে যে, "আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেই আগে ভাগে বামেরা তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে ।" এক নেতা দলের কর্মীদের নিদান দিয়েছেন যাতে সিপিএম প্রার্থীর প্রচার কাজে এখনই অংশ না নেওয়া হয় । কংগ্রেসের একাংশের কথায়, যিনি বিক্ষোভের মাথা, তিনি আশা করেছিলেন এ বার তিনি প্রার্থী হবেন । দল তাঁকে প্রার্থী না করায় এই ক্ষোভ ।
এমনই অবস্থা উত্তরে হতে হতেও হয়নি । দলে প্রাথমিক স্তরে যার নাম ঘোরাফেরা করছিল, তাঁকে শেষমেষ প্রার্থী করা হয়নি । তাই বিপক্ষ চুপ করে গিয়েছে । দলীয় প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যকে নিয়ে কংগ্রেসের দুই শিবির সিপিএমের সঙ্গে প্রচার শুরু করেছে । তবে ক্ষোভ অনেকেই চেপে রাখতে পারেননি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতার দাবি, "প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তাঁর নিজের জয় নিয়েই ভাবছেন ৷ রাজ্যের বাকি আর কোনও কংগ্রেস নেতার কথা ভাবছেন না । ফলে কংগ্রেসের কর্মীরা বা নিচুতলার নেতারা যাঁরা হাতে ঝান্ডা নিয়ে সারা বছর মাটি কামড়ে লড়াই করেন, তাঁদের মধ্যে তো ক্ষোভ তৈরি হবেই ।"
আরও পড়ুন: