কলকাতা, 4 মার্চ: ভোটের মুখে ফের বিদ্রোহ তৃণমূল কংগ্রেসে ৷ সোমবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাপস রায় ৷ তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন এই নেতা ৷ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বাংলার শাসক দলের বিরুদ্ধে ৷ আর তার পরই তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণে নেমেছে ৷ এ দিন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন সরব হয়েছেন বরানগরের সদ্য প্রাক্তন বিধায়কের বিরুদ্ধে ৷ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘তাপস রায় এখন বলছেন যে তিনি দলে (তৃণমূল কংগ্রেস) গুরুত্ব পাচ্ছেন না । কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার 15 দিন আগে হঠাৎ কেন তিনি এই কথা ভাবলেন ? কেন তিনি আগে একথা বলেননি ?’’
উল্লেখ্য, রবিবারই তাপস রায় জানিয়েছিলেন যে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন ৷ এর পর তৃণমূলের তরফে তাঁর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয় ৷ কিন্তু তার পরও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ৷ তার পর সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ৷ তাঁর দাবি, শাসক দলের দুর্নীতি দেখে তিনি বীতশ্রদ্ধ ৷ সন্দেশখালির ঘটনার সমালোচনাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে ৷ চলতি বছরের শুরুর দিকে তাঁর বাড়িতে ইডি-র অভিযান হয়েছিল ৷ সেই অভিযানের পর তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি বলেও দাবি করেন তাপস রায় ৷
স্বাভাবিকভাবেই তাপস রায়ের পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছে ৷ কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে এবার তাঁর গন্তব্য বিজেপি ৷ যদিও এই নিয়ে তাপস রায় কোনও মন্তব্য করেননি ৷ তবে তাঁর অন্য দলের যোগদানের প্রসঙ্গ তুলেই সরব হয়েছেন শান্তনু সেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল আপনাকে মন্ত্রী, উপ-মুখ্য সচেতক, সাংগঠনিক প্রধান বানিয়েছে । মতাদর্শ পরিবর্তন করে অন্য দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে । অন্য দিক থেকে লাভজনক কিছু না পেলে একজন মানুষ কি হঠাৎ এমন করতে পারে ?’’
একই সঙ্গে শান্তনু সেনের দাবি, ইডির অভিযানের পর তাপস রায়ের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল ৷ দু’দিন পর তা ফেরত দেওয়া হয় ৷ এর পরই তৃণমূলের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ৷ তাঁর পাশেও ছিল তৃণমূল ৷ তাই তাপস রায়ের এই সংক্রান্ত অভিযোগকে তিনি ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন শান্তনু সেন ৷
আরও পড়ুন: