মালদা, 2 মে: তৃতীয় দফায় মালদায় ভোট। তার ঠিক আগে ফের উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার প্রসঙ্গ টেনে আনল গেরুয়া শিবির। মালদা জেলায় মহানন্দা নদীর সংস্কার থেকে শুরু করে আম-রেশমের চাষ-সহ নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রশ্নে সরকারের সমালোচনায় সরব হল তারা। পাশাপাশি বিজেপির মুখপাত্র তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য কুণাল ঘোষ ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া চাইলেন। পাশাপাশি 2026 সালের আগেই পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ারও দাবি করেছেন এই বিজেপি নেতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র তথা রাজ্য সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, “নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গকে অনেক সময় দিয়েছেন। তবে তাঁর পুরোনো প্রতিশ্রুতি কী ছিল, আর কী হয়েছে সেটা উত্তরবঙ্গের মানুষের তা জানা। যে তৃণমূল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলছে, তারা লুঠ করা ছাড়া উত্তরবঙ্গকে অন্য কিছু উপহার দিতে পারেনি। মালদার মহানন্দা নদী নর্দমার আকার নিয়েছে। অথচ নদী নিয়ে সরকার কোনও উদ্যোগ নিয়েছে? ইংরেজবাজার শহরে জল জমছে। সরকার কী করছে? আম রফতানি বন্ধ। রেশন শিল্পও কার্যত শেষ। ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব তৈরির কথা বলেও কিছুই হয়নি।”
কুণাল ঘোষ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন শমীক ৷ তাঁর প্রতিক্রিয়া, "পশ্চিমবঙ্গের স্কুল পড়ুয়া একটা বাচ্চাও জানে তৃণমূল কোচবিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত কোটা হিসেব করে চাকরি বিক্রি করেছে। শুধু স্কুলের চাকরি নয়, এমন কোনও সরকারি বিভাগ নেই যেখানে চাকরি বিক্রি নিয়ে অভিযোগ আসেনি। এখন কুণাল ঘোষ যা বলছেন তার উত্তর তৃণমূলকে দিতে হবে। কুণাল ধারাবাহিকভাবে তৃণমূলকে বাঁচিয়েছেন। তৃণমূলের হয়ে আমাদের নেতাদের আক্রমণ করেছেন। আমরা সরাসরি এ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া দাবি করছি।”
শাসক দলের নির্বাচনি প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলে শমীক বলেন, “ভোট যত এগোচ্ছে তৃণমূলের ভাষা সংস্কৃতির তত পরিবর্তন হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে উৎসাহিত হয়ে হুমায়ুন কবীর শক্তিপুরে বলেছেন, এখানে 30 শতাংশ হিন্দু মানুষ বসবাস করে, সকলকে ভাগীরথী নদীতে ভাসিয়ে দেব। বাংলার ইতিহাসে এরকম কথা মানুষ কোনও দিন শোনেনি। আজকের এই পরিস্থিতির সঙ্গে 1946 সালের তুলনা করা যায়।”
আরও পড়ুন
'পদ নয়, পথে আছি', মমতা-অভিষেকের নাম নিয়ে চোখের জলে বার্তা কুণালের
'আমরাও পারি আপনাদের সব বিধায়ককে বহিষ্কার করতে', মহুরার কেন্দ্র থেকে হুঙ্কার মমতার