কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: কলকাতা পৌরনিগমের বাজেট আলোচনার প্রথম দিনে দ্বিতীয় দফায় ফের উত্তপ্ত হল অধিবেশন কক্ষ । উঠল সন্দেশখালি থেকে রামমন্দির প্রসঙ্গ । নিকাশি, জল, আলো, কর পিছনে ফেলে সন্দেশখালি নিয়েই বাগবিতণ্ডায় জড়ালেন মেয়র পারিষদ তারক সিং ও বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ । চেয়ারম্যান মালা রায়ের হুঁশিয়ারি না শোনায়, তারক সিং বক্তব্য রাখাকালীন সময়িক সময় মাইক অফ করে দেওয়া হল । শাসক ও বিরোধী গণ্ডগোল থামাতে ময়দানে নামেন দেবাশিস কুমার ।
বাজেট নিয়ে প্রথম দিনের প্রথমার্ধেই হইচই বেধেছিল তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে । দ্বিতীয়ার্ধে ফের তপ্ত হল পৌর অধিবেশন । তবে পৌর পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও বিষয় নয় । বক্তাদের বক্তব্যে উঠে এলো রাম মন্দির, সন্দেশখালি প্রসঙ্গ ।
এ দিন বাজেট অধিবেশনে বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা বলতে উঠে রামমন্দির নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন । সন্দেশখালির ঘটনা তুলে শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি । তখনই চিৎকার করে ওঠেন শাসক বেঞ্চে বসে থাকা জুঁই বিশ্বাস, অলকানন্দা দাসেরা ৷ মালা রায়ের হস্তক্ষেপে কোনও ভাবে সবাইকে শান্ত করা হয় ।
এর পর মেয়র পারিষদ তারক সিং বলতে ওঠেন । সেখানে তিনি সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ করেন । বিষয়টা ছোট্ট বলে মন্তব্য করেন । পাশাপশি বলেন, ইডি যায় সাংবাদিকদের বলে, পুলিশকে বলতে পারে না । এর পালটা উত্তর দেন সজল ঘোষ । আর তারপরেই দুই পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়ে । বারে বারে মালা রায় তাঁদের থামতে বলেন । কথা না শোনায় তারক সিংয়ের মাইক কিছুক্ষণের জন্য অফ করে দেওয়া হয় । ও দিকে, সুদীপ পোল্লেরা আঙুল উঁচিয়ে চামড়া গুটিয়ে দেওয়ার নিদান দেন বিজেপি কাউন্সিলরদের । পালটা বিজয় ওঝা, সজলরা চোখ উপড়ে নেওয়ার কথা বলেন । শেষে ফের দেবাশিস কুমার ওয়েলে নেমে দুই পক্ষকে শান্ত করেন ।
তবে এ প্রসঙ্গে বাম কাউন্সিলরদের বক্তব্য, পৌর বাজেটে পৌর পরিষেবা নিয়ে কোনও কথা নেই ৷ জনগণের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোনও কথা নেই ৷ পৌরসভার বাইরের বিভিন্ন বিষয়কেই ইস্যু করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে, যাতে কলকাতার নাগরিকদের বঞ্চনার কথা চাপা পড়ে ।
আরও পড়ুন: