কোচবিহার, 17 জুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধান বদলের অভিযোগ করেন ৷ কিন্তু, তিনি এবং তাঁর দল ভারতের সংবিধানকে মানেন না ৷ এমনই অভিযোগ করলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ ৷ পাটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদের নেতৃত্বে আজ বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল কোচবিহারে এসেছিল ৷ ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে দেখা করেন রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ অন্যান্যরা ৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি ৷
এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ ছাড়াও বিজেপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব, ব্রিজলাল এবং কবিতা পাতিদার ৷ তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল ৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলায় নির্বাচনে জেতার নামে, নারী নির্যাতন ও হিংসার পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগ করেছেন ৷ রবিশঙ্কর বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও আমি এখানে এসেছিলাম ৷ তখনও নির্বাচনের পর বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল ৷"
তাঁর অভিযোগ, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু, তাঁর রাজ্যে মহিলাদের উপর সবচেয়ে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটে ৷ একজন মহিলার সঙ্গে উঁচু গলায় কথা বলাও অন্যায়, সেখানে মমতার রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতন ও তাদের মারধর করা হচ্ছে ৷ উনি বলেন, বিজেপি নাকি সংবিধানকে বদলে দিতে চায় ৷ এদিকে নিজেই সংবিধান মানেন না ৷ উনি নির্বাচনে জয়ের মিথ্যে নাটক বন্ধ করুন ৷"
উল্লেখ্য, এদিন বিজেপির প্রতিনিধি দল যখন আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলছিল, সেই সময় এক সিভিক ভলান্টিয়ার তা ভিডিয়ো রেকর্ড করছিলেন ৷ বিষয়টি অগ্নিমিত্রা পালের নজরে পড়ে ৷ আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ৷ অভিযোগ করা হয়, সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিয়ে তৃণমূল ও পুলিশ অভিযোগকারীদের ভিডিয়ো করাচ্ছিল ৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বা তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷ তবে, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৷