বলাগড়, 1 এপ্রিল: বলাগড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে, তা এক প্রকার স্বীকার করে নিলেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই দ্বন্দ্বের অভিযোগকে শিলমোহর দিলেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও । তাঁর সঙ্গে একের পর এক দলীয় নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে বহুবার । তবে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লোকসভা ভোটে প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে জোর দিয়ে বললেন দু'জনেই ৷ তাঁদের দাবি, ভোটে এক জোট হয়েই লড়বে তৃণমূল নেতৃত্ব ।
সোমবার বলাগড় বিধানসভার চন্দ্রহাটিতে প্রচার সারেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানেই তিনি জানান, হুগলি লোকসভা থেকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি । হুগলিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কতটা চাপে রাখবে প্রার্থীকে ? এই প্রশ্নে রচনা বলেন, "কোন জায়গায় নেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ? সব জায়গায় কিছু না কিছু সমস্যা আছে । পরিবারের মধ্যেও কত সমস্যা থাকে । স্বামী-স্ত্রীতে সমস্যা, ননদ-বৌদিতে সমস্যা । সমস্যা সব জায়গায় থাকে । এটা তো এতবড় একটা দল । হাতের পাঁচটা আঙুল সমান হয় না । প্রত্যেকের চিন্তা ভাবনা সব আলাদা । সেই আঙুলগুলো জুড়ে একটা মুঠি তৈরি হয় । আর সেটা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হাতের চেটোটা হল তৃণমূল কংগ্রেস ।"
বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, "দ্বন্দ্ব থাকবেই । সব দলেই আছে । আমাদের দলেও আছে । তবে আমাদের লক্ষ্য বিজেপিকে পরাস্ত করা । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা এক হয়ে লড়াই করব । যদি কিছু ঝগড়া ঝাঁটি থাকে, তা মিটিয়ে নেব ।"
এ দিনের তীব্র দাবদাহে তৃণমূল প্রার্থী বলাগড় বিধানসভায় মগরা, ডেমরা, কুন্তিঘাট, চন্দ্রহাটি এক ও দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে করে প্রচার চালান । হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হুড খোলা ভিন্টেজ গাড়ি করে মানুষের সঙ্গে পথ পরিক্রমা করেন, তাঁর সঙ্গে হাত মেলান এলাকার মহিলারা । অনেকে ফুল দিয়ে 'দিদি নাম্বার ওয়ান'কে স্বাগত জানান । শুধু মহিলারাই নন, স্কুল পড়ুয়ারাও রচনাকে দেখতে হাজির হন ।
দেশে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে রচনা এ দিন বলেন, দেশে শুধুমাত্র ওষুধ নয় সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে । তাঁর কথায়, "শুধু ওষুধ না, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে ৷ আগে 500 টাকার এক ব্যাগ বাজার করা যেত, এখন একটা ছোট প্যাকেটে হয় । মানুষের দৈনন্দিন জীবন চালানো সমস্যা হয়ে গিয়েছে । কত কিছুর দাম বাড়ছে ৷ এরপর আরও কত বাড়বে । আগে ডালের দাম ছিল 40 টাকা, এখন তা 130 টাকা, আদার দাম ছিল 50 টাকা, এখন তা 150 টাকা, পেট্রল আগে বিক্রি হত 70 টাকায়, এখন এক লিটার 120 টাকা, কেরোসিন 40 টাকা ছিল, এখন লিটারপিছু 100 টাকা ।"
আরও পড়ুন: