সন্দেশখালি, 11 ফেব্রুয়ারি: বিজেপির পর সিপিএম । 144 ধারা জারির মধ্যেই সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ল সিপিএমের প্রতিনিধিদল । সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের সঙ্গে চলল পুলিশের তীব্র বচসা এবং বাদানুবাদ ।
অভিযোগ, সন্দেশখালিতে যাতে সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা প্রবেশ করতে না পারেন, তার জন্য ন্যাজাট ফেরিঘাটের ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে । যার ফলে ন্যাজাট ফেরিঘাটেই আটকে থাকতে হয় সিপিএমের প্রতিনিধি দলকে । কোনও অনুরোধে কাজ না হওয়ায় শেষে ন্যাজাট থেকেই খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে বাম নেতৃত্বকে । ঘটনার জেরে রবিবার সরগরম হয়ে ওঠে উত্তর 24 পরগনার ন্যাজাট ফেরিঘাট চত্বর ।
সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন সিপিএমের যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল ন্যাজাট হয়ে সন্দেশখালি ঢোকার চেষ্টা করে । সে কথা জানতে পেরে মীনাক্ষীদের আটকাতে প্রথমে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে গোটা এলাকাটি । যদিও, সেই ব্যারিকেড ভেঙেই সিপিএমের প্রতিনিধিদল এগিয়ে যায় সামনের দিকে । এরপর তারা পৌঁছয় ন্যাজাট ফেরিঘাটে । সেখানেও আগে থেকে মোতায়েন রাখা হয়েছিল পুলিশের বিশাল বাহিনী । একজন আইপিএস পদমর্যাদার মহিলা পুলিশ আধিকারিক হাজির ছিলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে ।
কিন্তু, সেখানে পৌঁছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা বোস, সৃজন ভট্টাচার্যরা জানতে পারেন, ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । পুলিশের বিরুদ্ধেই উঠেছে এমন অভিযোগ । এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা । শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডা । এমনকি পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা । ওই মহিলা পুলিশ আধিকারিক বারবার বাম নেতৃত্বকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, '144 ধারা জারি থাকায় সন্দেশখালিতে কারওকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না !' তার কারণও তিনি ব্যাখা করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের কাছে ।যদিও তাতে আমল দিতে চাননি বাম নেতৃত্ব । দু'পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় বেশ কিছুক্ষণ তর্ক-বিতর্ক চলার পর শেষ পর্যন্ত ন্যাজাট ফেরিঘাট থেকেই কলকাতার দিকে রওনা হয় সিপিএমের প্রতিনিধিদল । এ এদিকে,পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন সিপিএমের নেতা-নেত্রীরা । পুলিশ কোনও কিছুরই সমাধান করতে জানে না বলেও ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা । এ নিয়ে অবশ্য পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ।
প্রসঙ্গত, 144 ধারা জারির মধ্যেই শনিবার বিজেপির এক প্রতিনিধিদল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের বাসন্তী হাইওয়েতে আটকে দেয় পুলিশ । এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসাও বাঁধে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের । সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার সিপিএমের প্রতিনিধিদলকেও সন্দেশখালি যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হল ।
আরও পড়ুন: