ETV Bharat / politics

সিপিএম-তৃণমূলের দোকান আলাদা, মালপত্র কিন্তু এক; চড়া সুরে আক্রমণ মোদির - PM Narendra Modi

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 28, 2024, 6:36 PM IST

PM Narendra Modi: মঙ্গলবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বারুইপুরে নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেই সভা থেকে তিনি সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্য়ে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলেন ৷ এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে তিনি আক্রমণ শানান তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ৷

PM Narendra Modi
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ইটিভি ভারত)

বারুইপুর, 28 মে: শেষ দফার নির্বাচনী প্রচারে এসে বাংলায় সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গোপন আঁতাত তৈরির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুরে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি এই অভিযোগ করেন ৷

প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ‘‘সিপিএম ও তৃণমূলের দোকান আলাদা ৷ কিন্তু মালপত্র এক৷ এরা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করে ৷ দু’টো দলই গণতন্ত্র বিরোধী ৷ বাংলায় কোনও ভোটই হিংসা ছাড়া হয় না ৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমকে দেওয়া ভোট তৃণমূলের কাছেই যাবে ৷ তৃণমূলকে সাহায্য করতে সিপিএম ভোটে লড়ছে ৷ পর্দার পিছনে এরা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ৷ তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী ম্যাডাম তো বলেছেন, দিল্লিতে এঁদের সঙ্গে থাকবেন ৷’’

প্রধানমন্ত্রী আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সকাল-সন্ধ্যা ভোট ব্যাংক, গালিগালাজ করে ৷ এদের কাছে দেশের জন্য, বাংলার জন্য কি কোনও লক্ষ্য আছে ? যারা শুধু ভোট ব্যাংকের জন্য কাজ করে, তারা যুবদের কর্মসংস্থান করতে পারবে না ৷ তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের লাভের জন্য মানুষকে গরিব করে রাখতে চায় ৷’’ তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাংকের জন্য সব কাজ করে ৷ তাই সংখ্যালঘুদের খুশি করতে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় মানতে চাইছে না তারা ৷

এই সভাতেও সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা বলেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারছে না ৷ তাই তৃণমূলের শাস্তি পাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় সুশাসন মাইক্রোস্কোপের নিচেও পাওয়া যায় না ৷’’ এ দিন ভাষণের মাঝে রবি ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ কবিতার কয়েকটি লাইনও বলেন ৷ বাংলায় বলতে গিয়ে উচ্চারণগত ত্রুটি যে হচ্ছে, তা স্বীকার করেও নেন তিনি ৷ এর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন ৷

আরও পড়ুন:

এ দিন তিনি যে এলাকায় নির্বাচনী জনসভা করেন, তা যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৷ মঞ্চে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন ৷ পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীও ৷ দক্ষিণ কলকাতা এবং বিশেষ করে যাদবপুরে বাম মনোভাবাপন্ন ভোটারের সংখ্যা এখনও কম নয় বলেই অনেকে মনে করেন ৷ ফলে এ দিন মোদির ভাষণে তাই বারবার ফিরে এসেছে সিপিএমের প্রসঙ্গ ৷

একেবারে ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘‘বাংলার বিচক্ষণ মানুষ জানেন যে দেশে শক্তিশালী সরকার কেন জরুরি ৷ তাই এবার চার জুন নতুন ইতিহাস তৈরি হবে ৷’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘বাংলার অনেক জায়গায় গিয়েছি ৷ আমি দেখতে পাচ্ছি যে তৃণমূলের অনেক দুর্গ ভেঙে পড়বে ৷ যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ ও বাংলায় পদ্ম ফুটবে ৷’’ তাই জনতার উদ্দেশ্য়ে মোদির বার্তা, ‘‘100 জনের মধ্যে 90 জন বলবেন মোদি সরকার আসছে ৷ বিজেপির সরকার যখন আসছেই ৷ তাহলে ভোট নষ্ট করা কি উচিত ?’’

একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি দেশের বিকাশের জন্য কাজ করেন ৷ গত 10 বছরে সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে ৷ ভারতে রোজ 2টি কলেজ, প্রতি সপ্তাহে একটা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতি বছর তিরিশের বেশি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে ৷ দশ বছর আগে মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব়্যাঙ্কিংয়ে থাকত৷ এখন অনেক প্রতিষ্ঠান সেই তালিকায় জায়গা পায় ৷

তাঁর আরও বক্তব্য, দশ বছর আগে দেশের 4-5 শহরে মেট্রো ছিল ৷ এখন অনেক শহরে মেট্রো আছে ৷ কলকাতা মেট্রোর দ্রুত বিস্তার করা হচ্ছে ৷ আগামী বছরে আরও বন্দে ভারত চলবে, ইলেকট্রিক বাস-গাড়ির সংখ্যা বাড়বে ৷ এর ফলে নতুন ভারত তৈরি তো হবেই ৷ কর্মসংস্থানও হবে ৷ তিনি বলেন, ‘‘মোদি যখন বিকশিত ভারত তৈরি করতে চাইছে ৷ বিকশিত বাংলা ছাড়া তা সম্ভব নয় ৷ বাংলাকে তার অতীতের সোনালি দিন ফিরিয়ে দেব ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘মানবতার সেবা করা সন্তরা সরব হল তো তাদের উপর হামলা হচ্ছে ৷ এটা টিএমসির টেরর মডেল ৷ দেশের সামনে বেরিয়ে আসছে সব ৷’’

আরও পড়ুন:

বারুইপুর, 28 মে: শেষ দফার নির্বাচনী প্রচারে এসে বাংলায় সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গোপন আঁতাত তৈরির অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুরে আয়োজিত এক নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি এই অভিযোগ করেন ৷

প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ‘‘সিপিএম ও তৃণমূলের দোকান আলাদা ৷ কিন্তু মালপত্র এক৷ এরা ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করে ৷ দু’টো দলই গণতন্ত্র বিরোধী ৷ বাংলায় কোনও ভোটই হিংসা ছাড়া হয় না ৷’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমকে দেওয়া ভোট তৃণমূলের কাছেই যাবে ৷ তৃণমূলকে সাহায্য করতে সিপিএম ভোটে লড়ছে ৷ পর্দার পিছনে এরা মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ৷ তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী ম্যাডাম তো বলেছেন, দিল্লিতে এঁদের সঙ্গে থাকবেন ৷’’

প্রধানমন্ত্রী আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সকাল-সন্ধ্যা ভোট ব্যাংক, গালিগালাজ করে ৷ এদের কাছে দেশের জন্য, বাংলার জন্য কি কোনও লক্ষ্য আছে ? যারা শুধু ভোট ব্যাংকের জন্য কাজ করে, তারা যুবদের কর্মসংস্থান করতে পারবে না ৷ তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের লাভের জন্য মানুষকে গরিব করে রাখতে চায় ৷’’ তাঁর আরও দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস ভোটব্যাংকের জন্য সব কাজ করে ৷ তাই সংখ্যালঘুদের খুশি করতে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় মানতে চাইছে না তারা ৷

এই সভাতেও সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী ৷ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালির মহিলাদের উপর অত্যাচারের কথা বলেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পারছে না ৷ তাই তৃণমূলের শাস্তি পাওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় সুশাসন মাইক্রোস্কোপের নিচেও পাওয়া যায় না ৷’’ এ দিন ভাষণের মাঝে রবি ঠাকুরের ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ কবিতার কয়েকটি লাইনও বলেন ৷ বাংলায় বলতে গিয়ে উচ্চারণগত ত্রুটি যে হচ্ছে, তা স্বীকার করেও নেন তিনি ৷ এর জন্য তিনি ক্ষমাও চেয়ে নেন ৷

আরও পড়ুন:

এ দিন তিনি যে এলাকায় নির্বাচনী জনসভা করেন, তা যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৷ মঞ্চে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন ৷ পাশাপাশি ছিলেন কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীও ৷ দক্ষিণ কলকাতা এবং বিশেষ করে যাদবপুরে বাম মনোভাবাপন্ন ভোটারের সংখ্যা এখনও কম নয় বলেই অনেকে মনে করেন ৷ ফলে এ দিন মোদির ভাষণে তাই বারবার ফিরে এসেছে সিপিএমের প্রসঙ্গ ৷

একেবারে ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘‘বাংলার বিচক্ষণ মানুষ জানেন যে দেশে শক্তিশালী সরকার কেন জরুরি ৷ তাই এবার চার জুন নতুন ইতিহাস তৈরি হবে ৷’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘বাংলার অনেক জায়গায় গিয়েছি ৷ আমি দেখতে পাচ্ছি যে তৃণমূলের অনেক দুর্গ ভেঙে পড়বে ৷ যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ ও বাংলায় পদ্ম ফুটবে ৷’’ তাই জনতার উদ্দেশ্য়ে মোদির বার্তা, ‘‘100 জনের মধ্যে 90 জন বলবেন মোদি সরকার আসছে ৷ বিজেপির সরকার যখন আসছেই ৷ তাহলে ভোট নষ্ট করা কি উচিত ?’’

একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি দেশের বিকাশের জন্য কাজ করেন ৷ গত 10 বছরে সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে ৷ ভারতে রোজ 2টি কলেজ, প্রতি সপ্তাহে একটা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতি বছর তিরিশের বেশি মেডিক্যাল কলেজ হয়েছে ৷ দশ বছর আগে মাত্র কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ব়্যাঙ্কিংয়ে থাকত৷ এখন অনেক প্রতিষ্ঠান সেই তালিকায় জায়গা পায় ৷

তাঁর আরও বক্তব্য, দশ বছর আগে দেশের 4-5 শহরে মেট্রো ছিল ৷ এখন অনেক শহরে মেট্রো আছে ৷ কলকাতা মেট্রোর দ্রুত বিস্তার করা হচ্ছে ৷ আগামী বছরে আরও বন্দে ভারত চলবে, ইলেকট্রিক বাস-গাড়ির সংখ্যা বাড়বে ৷ এর ফলে নতুন ভারত তৈরি তো হবেই ৷ কর্মসংস্থানও হবে ৷ তিনি বলেন, ‘‘মোদি যখন বিকশিত ভারত তৈরি করতে চাইছে ৷ বিকশিত বাংলা ছাড়া তা সম্ভব নয় ৷ বাংলাকে তার অতীতের সোনালি দিন ফিরিয়ে দেব ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘মানবতার সেবা করা সন্তরা সরব হল তো তাদের উপর হামলা হচ্ছে ৷ এটা টিএমসির টেরর মডেল ৷ দেশের সামনে বেরিয়ে আসছে সব ৷’’

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.