কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: "জমি আদায়ে রাস্তায় বসবো, সঙ্গে থাকবেন ?" উত্তর 24 পরগনার সন্দেশখালির বাড়ি বাড়ি ঘুরে জানতে চাইলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও ধ্রুবজ্যোতি সাহা । শনিবার তাঁরা সেখানে যান ৷ তাঁদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় ৷ সেখানেই তাঁরা সাধারণ মানুষের কাছে এই প্রশ্ন করেন ৷
সিপিএমের তরফ থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজেদের দুঃখ দুর্দশা সমস্যার কথা জানাচ্ছেন স্থানীয়রা । কতটা ভয়ে আছেন, স্থানীয় পুলিশের থেকে তারা যেকোনও রকম সাহায্য পাননি, সেই অভিযোগও তুলে ধরেছেন তাঁরা । শেখ শাহজাহান, শিব প্রসাদ ওরফে শিবু হাজরা ও উত্তম সরদারদের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ ৷
এদিন মীনাক্ষী-ধ্রবজ্যোতিদের সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ও উত্তর 24 পরগনার নেতা পলাশ দাস-সহ গণ-আন্দোলনের কর্মীরা । স্থানীয় মানুষদের আইনি সাহায্য থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সমস্ত অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন । পরিবর্তে সিপিএম যে জমি মাফিয়াদের আন্দোলন করবে, সেই আন্দোলনে সামিল হওয়ার প্রতিশ্রুতিও চাওয়া হয় স্থানীয়দের কাছ থেকে । স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ পাশে থাকার কথা বললেও, অনেকে ভয়েই কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারেননি ৷ তাঁদের কথাতেই তা স্পষ্ট হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, এ দিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের পরিকল্পনামাফিক যে পথে সন্দেশখালি পৌঁছানোর কথা ছিল, তা হঠাৎই বদলে যায় । সাধারণত যেকোনও বড় ধরনের মিটিং মিছিল বা কর্মসূচিতে সালোয়ার-কামিজ পরতে দেখা যায় মীনাক্ষীকে । কিন্তু আজ সন্দেশখালিতে তিনি শাড়ি ও সাদা ওড়নায় মুখ ঢেকে যান ।
কারণ, এর আগে মীনাক্ষী-সহ সিপিএমের মহিলা সংগঠনের প্রতিনিধিরা সন্দেশখালি যেতে চাইলেও ন্যাজটা ফেরিঘাটে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় । শেষ পর্যন্ত তাঁরা সন্দেশখালিতে পৌঁছাতে পারেনি । আজ সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতেই পোশাক এবং রুট বদল বলে সিপিএমের একটি সূত্রের দাবি ।
আরও পড়ুন: