কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের আসন রফা নিয়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করতে মুর্শিদাবাদ রওনা দিলেন মহম্মদ সেলিম। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বৈঠক হবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের। তার আগে বুধবার রাতের দিকে বহরমপুর পৌঁছে যাবেন সেলিম। জেলা কার্যালয়ে গিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন। এরপরই আগামিকাল অধীরের সঙ্গে কথা হবে তাঁর।
এ বিষয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহ সেলিম বলেন, "আগামীকাল অধীর চৌধুরী সঙ্গে কথা হবে। সাক্ষাৎ হবে। আসন্ন লোক সভা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে । বাকি বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।" বিজেপির বিরুদ্ধে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় বঙ্গে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মিলিয়ে ছিলেন মহাম্মদ সেলিম সুজন চক্রবর্তী-রা। কিন্তু, শাসক দল তৃণমূলকে দেখা যায়নি। এরপর জোট করা নিয়েও বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দল।
লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস,এসইউসিআই এবং লিবারেশনকে সঙ্গে নিতে চাইছেন মহ সেলিমরা। সেলিমের কথায়," বিজেপি এবং তৃণমূলের তামাক খায়নি এমন সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। এসইউসিআই হোক, লিবারেশন হোক কিংবা আইএসএফ- বিজেপি ও তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক না থাকলে এবং শিরদাঁড়া বিক্রি করতে রাজি নয় এমন যে কারও সঙ্গেই আমরা কাজ করতে রাজি।"
অধীর-সেলিমের এই বৈঠক সবদিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে বিজেপিকে পরাজিত করতে বিরোধীরা ইন্ডিয়া জোট গড়েছে। বাংলার শাসকদল তৃণমল সেই জোটের শুরু থেকেই আছে। তবে গত কয়েকদিনে জোটে নানা ধরনের সমীকরণের জন্ম হয়েছে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ইন্ডিয়া জোটকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন।
মমতা বলে দিয়েছেন, রাজ্য স্তরে কোনও দলের সঙ্গেই জোট করবে না তৃণমূল। দেশে কী হবে সেটা ভোটের পরে দেখা যাবে। আবার পঞ্জাবে একা লড়ার কথা একপ্রকার জানিয়েছেন কেজরির দল আপও। তাছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে এ কথাও বলতে শোনা গিয়েছে, "বিজেপি শুধু আপকেই ভয় পায়।" সবমিলিয়ে যে সমীকরণ এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইন্ডিয়া জোটের যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন আর নেই। কংগ্রেসের তরফে কখনও তৃণমূল আবার কখনও আপকে বার্তা দেওয়া হলেও জোটের সেই পুরনো সমীকরণ ফিরে আসেনি বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। এমন আবহে কংগ্রেস-সিপিএমের জোট-বৈঠকের তাৎপর্য যথেষ্ঠ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: