ETV Bharat / politics

হীরক-রানি কটাক্ষের পালটা লকেট-রানি, শাহকে জবাব মমতার - Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: আগামী 20 মে পঞ্চম দফায় হুগলি লোকসভা আসনে ভোট ৷ তার আগে বুধবার হুগলির চুঁচুড়ায় নির্বাচনী নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সভার মঞ্চ থেকে একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ করেন বিজেপি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ৷

Mamata Banerjee
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 15, 2024, 4:05 PM IST

Updated : May 15, 2024, 5:10 PM IST

চুঁচুড়া, 15 মে: শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হীরক-রানি বলে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ ৷ বুধবার শাহের এই কটাক্ষের জবাব কয়েকঘণ্টার মধ্যেই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে লকেট রানি বলে কটাক্ষ করলেন মমতা ৷

আগামী সোমবার, 20 মে হুগলিতে ভোট ৷ বুধবার হুগলির চুঁচুড়ায় নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ সেখানে উপস্থিত জনতার ভিড় দেখে মমতা জানান, এই মানুষগুলোই যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেন, তাহলেই তাঁর দলের প্রার্থী রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায় জিতে যাবেন ৷ আর ‘লকেট-রানি’ হেরে যাবেন ৷

যদিও এর পর তাঁর ভাষণে আর লকেটের প্রসঙ্গ ওঠেনি ৷ বরং আগাগোড়া তিনি আক্রমণ করেছেন বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ জনতাকে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিকে হারাতে প্রতিটা সিট খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ বিজেপি এবার ক্ষমতায় এলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না, মা-বোনেদের সম্মান থাকবে না ৷ নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে আর কারও নিয়োগ হবে না ৷

মমতার দাবি, একটা রাজনৈতিক দলকে মানুষ ভোট দেয়, তার দায়বদ্ধতা দেখে ৷ তৃণমূল সব প্রতিশ্রুতি পালন করে ৷ কিন্তু গত 10 বছরে বিজেপি যে কথা বলে ভোট নিয়েছে, সেই কথাগুলো পালন তারা করেনি ৷ 15 লক্ষ টাকা, বছরে দু কোটি চাকরি দেবে বলেছিল ৷ কিন্তু দেয়নি ৷ তার মানে পুরোটা ভাঁওতা ৷ এই প্রসঙ্গে মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘ওঁর (নরেন্দ্র মোদি) নাম দিয়েছি প্রচারবাবু ৷ ছবি তুলতে এত ভালোবাসেন আর নিজের প্রচার করতে ৷’’

আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও তিনি বিজেপির সমালোচনা করেন ৷ মমতার কথায়, সত্তরোর্ধ্বদের চিকিৎসা খরচ দেবে বলছে মোদি সরকার ৷ তাহলে সত্তরের নিচে যাঁদের বয়স, তাঁদের কী হবে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যসাথীর প্রসঙ্গ টানেন ৷ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে সবাই চিকিৎসা পান বলে তিনি জানান ৷ মমতার আরও অভিযোগ, আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন মোদি ৷ কিন্তু মোদির হাতের পুতুল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷

মমতার আরও প্রশ্ন, আড়াই মাস ধরে ভোট হলে উন্নয়ন হবে কী করে ? তাঁর দাবি, মোদির গ্যারান্টি মানে ফোর টোয়েন্টি ৷ তাঁর অভিযোগ, যেখানে যেখানে ক্ষমতায় আছে বিজেপি, সেখানে সেখানে মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷

মমতার দাবি, বিজেপি এবার জিততে পারবে না ৷ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ-সহ সর্বত্র হারছে বিজেপি ৷ বিজেপির জেতার কোনও অঙ্ক নেই ৷ 2004 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী হেরে যাবেন, কেউ বুঝতে পারেনি ৷ ভেতরে ভেতরে হাওয়া বদলে গিয়েছে ৷ এবারও তাই হবে ৷

তাঁর আরও দাবি, বিজেপির মতো চোর পার্টি একটাও নেই ৷ সবচেয়ে বড় চোর৷ সারা বিশ্ব বুঝতে পারছে কী চলছে দেশে ৷ বিজেপি চারটে পর্বে হেরেছে ৷ আর তিনটেতে বেশি জেতার সম্ভাবনা নেই ৷ ‘ইন্ডিয়া’ জোট থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাইরে থেকে সবরকম সাহায্য করে তৃণমূল কেন্দ্রে সরকার গঠন করে দেব ৷

মমতার আরও দাবি, প্রচারক, প্রকাশকের নাম ছাড়া যা ইচ্ছে তাই বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না ৷ কোর্টে রিট পিটিশন করা হচ্ছে ৷ এ দিন আবারও মমতা জানান যে তাঁরা এনআরসি-সিএএ করতে দেবেন না ৷ তাই তিনি বলেন, ‘‘দেশ বাঁচুক, বিজেপি বিদায় নিক ৷’’ এই সময় বিজেপিকে তিনি ‘আপদ’ বলেও কটাক্ষ করেন ৷

আরও পড়ুন:

  1. লকেট না রচনা, কে হবেন হুগলির 'দিদি নম্বর 1'
  2. 'রোজ চোর বলছে', মানহানি মামলার সঙ্গেই গাছে বাঁধার হুঁশিয়ারি মমতার
  3. শর্ত সাপেক্ষে তিনিও সিএএ মানতে রাজি, স্পষ্ট করলেন মমতা

চুঁচুড়া, 15 মে: শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে হীরক-রানি বলে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি অমিত শাহ ৷ বুধবার শাহের এই কটাক্ষের জবাব কয়েকঘণ্টার মধ্যেই দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে লকেট রানি বলে কটাক্ষ করলেন মমতা ৷

আগামী সোমবার, 20 মে হুগলিতে ভোট ৷ বুধবার হুগলির চুঁচুড়ায় নির্বাচনী জনসভা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ সেখানে উপস্থিত জনতার ভিড় দেখে মমতা জানান, এই মানুষগুলোই যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেন, তাহলেই তাঁর দলের প্রার্থী রচনা বন্দ্য়োপাধ্যায় জিতে যাবেন ৷ আর ‘লকেট-রানি’ হেরে যাবেন ৷

যদিও এর পর তাঁর ভাষণে আর লকেটের প্রসঙ্গ ওঠেনি ৷ বরং আগাগোড়া তিনি আক্রমণ করেছেন বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ জনতাকে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিকে হারাতে প্রতিটা সিট খুব গুরুত্বপূর্ণ ৷ বিজেপি এবার ক্ষমতায় এলে কারও অস্তিত্ব থাকবে না, মা-বোনেদের সম্মান থাকবে না ৷ নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে আর কারও নিয়োগ হবে না ৷

মমতার দাবি, একটা রাজনৈতিক দলকে মানুষ ভোট দেয়, তার দায়বদ্ধতা দেখে ৷ তৃণমূল সব প্রতিশ্রুতি পালন করে ৷ কিন্তু গত 10 বছরে বিজেপি যে কথা বলে ভোট নিয়েছে, সেই কথাগুলো পালন তারা করেনি ৷ 15 লক্ষ টাকা, বছরে দু কোটি চাকরি দেবে বলেছিল ৷ কিন্তু দেয়নি ৷ তার মানে পুরোটা ভাঁওতা ৷ এই প্রসঙ্গে মোদিকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘ওঁর (নরেন্দ্র মোদি) নাম দিয়েছি প্রচারবাবু ৷ ছবি তুলতে এত ভালোবাসেন আর নিজের প্রচার করতে ৷’’

আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও তিনি বিজেপির সমালোচনা করেন ৷ মমতার কথায়, সত্তরোর্ধ্বদের চিকিৎসা খরচ দেবে বলছে মোদি সরকার ৷ তাহলে সত্তরের নিচে যাঁদের বয়স, তাঁদের কী হবে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যসাথীর প্রসঙ্গ টানেন ৷ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে সবাই চিকিৎসা পান বলে তিনি জানান ৷ মমতার আরও অভিযোগ, আয়ুষ্মান ভারত নিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত আদর্শ আচরণবিধি ভেঙেছেন মোদি ৷ কিন্তু মোদির হাতের পুতুল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এই নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷

মমতার আরও প্রশ্ন, আড়াই মাস ধরে ভোট হলে উন্নয়ন হবে কী করে ? তাঁর দাবি, মোদির গ্যারান্টি মানে ফোর টোয়েন্টি ৷ তাঁর অভিযোগ, যেখানে যেখানে ক্ষমতায় আছে বিজেপি, সেখানে সেখানে মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷

মমতার দাবি, বিজেপি এবার জিততে পারবে না ৷ দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ-সহ সর্বত্র হারছে বিজেপি ৷ বিজেপির জেতার কোনও অঙ্ক নেই ৷ 2004 সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী হেরে যাবেন, কেউ বুঝতে পারেনি ৷ ভেতরে ভেতরে হাওয়া বদলে গিয়েছে ৷ এবারও তাই হবে ৷

তাঁর আরও দাবি, বিজেপির মতো চোর পার্টি একটাও নেই ৷ সবচেয়ে বড় চোর৷ সারা বিশ্ব বুঝতে পারছে কী চলছে দেশে ৷ বিজেপি চারটে পর্বে হেরেছে ৷ আর তিনটেতে বেশি জেতার সম্ভাবনা নেই ৷ ‘ইন্ডিয়া’ জোট থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাইরে থেকে সবরকম সাহায্য করে তৃণমূল কেন্দ্রে সরকার গঠন করে দেব ৷

মমতার আরও দাবি, প্রচারক, প্রকাশকের নাম ছাড়া যা ইচ্ছে তাই বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় না ৷ কোর্টে রিট পিটিশন করা হচ্ছে ৷ এ দিন আবারও মমতা জানান যে তাঁরা এনআরসি-সিএএ করতে দেবেন না ৷ তাই তিনি বলেন, ‘‘দেশ বাঁচুক, বিজেপি বিদায় নিক ৷’’ এই সময় বিজেপিকে তিনি ‘আপদ’ বলেও কটাক্ষ করেন ৷

আরও পড়ুন:

  1. লকেট না রচনা, কে হবেন হুগলির 'দিদি নম্বর 1'
  2. 'রোজ চোর বলছে', মানহানি মামলার সঙ্গেই গাছে বাঁধার হুঁশিয়ারি মমতার
  3. শর্ত সাপেক্ষে তিনিও সিএএ মানতে রাজি, স্পষ্ট করলেন মমতা
Last Updated : May 15, 2024, 5:10 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.