ETV Bharat / politics

মালদার দু’টি আসন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কংগ্রেসের অনেক চাই, বললেন মমতা - তৃণমূল

Mamata Banerjee: বুধবার মালদায় প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ সেই সভার মঞ্চ থেকে তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে ৷ ব্যাখ্যা করলেন কেন তিনি বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করলেন না ৷

Mamata Banerjee
Mamata Banerjee
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 31, 2024, 1:40 PM IST

Updated : Jan 31, 2024, 3:45 PM IST

মালদার দু’টি আসন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কংগ্রেসের অনেক চাই, বললেন মমতা

মালদা, 31 জানুয়ারি: গত বুধবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় একা লড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ এক সপ্তাহ পর সেই বার্তার ব্যাখ্যাও উঠে এল তাঁর ভাষণে ৷ এ দিন মালদার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি জানালেন, ওই জেলার দু’টি আসন তিনি কংগ্রেসের জন্য ছাড়তে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কংগ্রেস সেই আসন সমঝোতায় রাজি হয়নি ৷

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মালদায় ৷ সেখানে তিনি পদযাত্রা করার পাশাপাশি অংশ নেন প্রশাসনিক সভায় ৷ সেই প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে তাঁর ভাষণে উঠে আসে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আসন সমঝোতার প্রসঙ্গ ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসকে বললাম, তোমাদের একটাও এমলএ নেই ৷ আমি মালদায় তোমাদের দু’টো সিট দিচ্ছি ৷ আমরা জিতিয়ে দেব ৷’’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (24 জানুয়ারি) পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে যাওয়ার পথে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বাংলায় তৃণমূল একাই লড়াই করবে ৷ কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আসন সমঝোতা করবে না ৷ তবে জাতীয়স্তরে কী হবে, তা ভোটের পর তিনি ঠিক করবেন বলে জানান ৷

সেদিন এই নিয়ে ব্যাপক হইচই হয় রাজনৈতিক মহলে ৷ বিশেষ করে বাংলায় আসন সমঝোতা না হওয়ার দায় মমতা কংগ্রেসের উপরই চাপিয়েছিলেন ৷ স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছিল যে কেন এই কথা বলছেন তৃণমূল নেত্রী ? বুধবার মালদা থেকে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি ৷ বললেন, ‘‘(কংগ্রেস) বলল না ৷ আমাদের অনেক চাই ৷ আমি বললাম তোমাকে আমি একটাও দেব না ৷ তুমি আগে সিপিএমের সঙ্গ ছাড়ো ৷ সিপিএম তোমার নেতা ৷’’

প্রসঙ্গত, 2019 সালে বাম-কংগ্রেস জোট করে বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল ৷ সেবার কংগ্রেস দু’টি আসনে জিতলেও বামেরা কোনও আসনে জেতেনি ৷ কংগ্রেসের জেতা দুই আসনের মধ্যে একটির সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাও ৷ তিনি জিতেছিলেন বহরমপুর থেকে ৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এ দিন যে দু’টি আসনের কথা বলেছেন, তার মধ্যে একটি মালদা (দক্ষিণ) কংগ্রেসের দখলে ছিল ৷ আর মালদা (উত্তর) বিজেপি জিতেছিল ৷ সেই হিসেবে কংগ্রেসের জেতা দুই আসনের মধ্যে একটি আসন ছাড়ার সূত্র তৃণমূলের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসকে ৷

অধীর চৌধুরী হেভিওয়েট নেতা হিসেবে রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত ৷ আর বহরমপুরকে তাঁর গড় হিসেবেই মনে করা হয় ৷ তাই প্রশ্ন উঠছে, তাঁকে আসন ছাড়তে কেন রাজি হল না তৃণমূল ? তাঁর আসন না ছাড়া নিয়েই কি বাংলায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের আসন সমঝোতা ভেস্তে গেল ?

অধীর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সমালোচক ৷ জাতীয়স্তরে দুই দলের শীর্ষনেতৃত্ব কাছাকাছি এলেও তৃণমূল বিরোধিতার লাইন থেকে সরেননি অধীর ৷ সম্প্রতি তৃণমূলও বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ ভেঙে যাওয়া নিয়ে অধীরের উপরই দায় চাপাতে শুরু করেছে ৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে যে অধীরের সমালোচনার জন্যই কি বহরমপুর ছাড়তে রাজি হয়নি তৃণমূল ?

আরও পড়ুন:

  1. জোট নিয়ে কংগ্রেসের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বাংলায় একা লড়ার ঘোষণা মমতার
  2. রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট ভাঙার মূলে অধীর ? জারি রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ
  3. কংগ্রেসের অনমনীয়তাই কি ‘ইন্ডিয়া’র বিভাজনের পথ প্রশস্ত করছে !

মালদার দু’টি আসন দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কংগ্রেসের অনেক চাই, বললেন মমতা

মালদা, 31 জানুয়ারি: গত বুধবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় একা লড়াই করার বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ এক সপ্তাহ পর সেই বার্তার ব্যাখ্যাও উঠে এল তাঁর ভাষণে ৷ এ দিন মালদার মাটিতে দাঁড়িয়ে তিনি জানালেন, ওই জেলার দু’টি আসন তিনি কংগ্রেসের জন্য ছাড়তে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু কংগ্রেস সেই আসন সমঝোতায় রাজি হয়নি ৷

বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মালদায় ৷ সেখানে তিনি পদযাত্রা করার পাশাপাশি অংশ নেন প্রশাসনিক সভায় ৷ সেই প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে তাঁর ভাষণে উঠে আসে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের আসন সমঝোতার প্রসঙ্গ ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেসকে বললাম, তোমাদের একটাও এমলএ নেই ৷ আমি মালদায় তোমাদের দু’টো সিট দিচ্ছি ৷ আমরা জিতিয়ে দেব ৷’’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (24 জানুয়ারি) পূর্ব বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে যাওয়ার পথে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বাংলায় তৃণমূল একাই লড়াই করবে ৷ কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আসন সমঝোতা করবে না ৷ তবে জাতীয়স্তরে কী হবে, তা ভোটের পর তিনি ঠিক করবেন বলে জানান ৷

সেদিন এই নিয়ে ব্যাপক হইচই হয় রাজনৈতিক মহলে ৷ বিশেষ করে বাংলায় আসন সমঝোতা না হওয়ার দায় মমতা কংগ্রেসের উপরই চাপিয়েছিলেন ৷ স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছিল যে কেন এই কথা বলছেন তৃণমূল নেত্রী ? বুধবার মালদা থেকে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করে দিলেন তিনি ৷ বললেন, ‘‘(কংগ্রেস) বলল না ৷ আমাদের অনেক চাই ৷ আমি বললাম তোমাকে আমি একটাও দেব না ৷ তুমি আগে সিপিএমের সঙ্গ ছাড়ো ৷ সিপিএম তোমার নেতা ৷’’

প্রসঙ্গত, 2019 সালে বাম-কংগ্রেস জোট করে বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল ৷ সেবার কংগ্রেস দু’টি আসনে জিতলেও বামেরা কোনও আসনে জেতেনি ৷ কংগ্রেসের জেতা দুই আসনের মধ্যে একটির সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷ তিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতাও ৷ তিনি জিতেছিলেন বহরমপুর থেকে ৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এ দিন যে দু’টি আসনের কথা বলেছেন, তার মধ্যে একটি মালদা (দক্ষিণ) কংগ্রেসের দখলে ছিল ৷ আর মালদা (উত্তর) বিজেপি জিতেছিল ৷ সেই হিসেবে কংগ্রেসের জেতা দুই আসনের মধ্যে একটি আসন ছাড়ার সূত্র তৃণমূলের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসকে ৷

অধীর চৌধুরী হেভিওয়েট নেতা হিসেবে রাজ্য রাজনীতিতে পরিচিত ৷ আর বহরমপুরকে তাঁর গড় হিসেবেই মনে করা হয় ৷ তাই প্রশ্ন উঠছে, তাঁকে আসন ছাড়তে কেন রাজি হল না তৃণমূল ? তাঁর আসন না ছাড়া নিয়েই কি বাংলায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের আসন সমঝোতা ভেস্তে গেল ?

অধীর চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সমালোচক ৷ জাতীয়স্তরে দুই দলের শীর্ষনেতৃত্ব কাছাকাছি এলেও তৃণমূল বিরোধিতার লাইন থেকে সরেননি অধীর ৷ সম্প্রতি তৃণমূলও বাংলায় ‘ইন্ডিয়া’ ভেঙে যাওয়া নিয়ে অধীরের উপরই দায় চাপাতে শুরু করেছে ৷ ফলে প্রশ্ন উঠছে যে অধীরের সমালোচনার জন্যই কি বহরমপুর ছাড়তে রাজি হয়নি তৃণমূল ?

আরও পড়ুন:

  1. জোট নিয়ে কংগ্রেসের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বাংলায় একা লড়ার ঘোষণা মমতার
  2. রাজ্যে 'ইন্ডিয়া' জোট ভাঙার মূলে অধীর ? জারি রাজনৈতিক আক্রমণ, প্রতি আক্রমণ
  3. কংগ্রেসের অনমনীয়তাই কি ‘ইন্ডিয়া’র বিভাজনের পথ প্রশস্ত করছে !
Last Updated : Jan 31, 2024, 3:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.