কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: মমতার দিল্লি সফর বাতিল। কারণও জানিয়ে দিলেন স্পষ্ট করে ৷ বাজেটের জন্যই তিনি রাজধাীর উদ্দেশ্যে যাবেন না ৷ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নবান্নে সাংসবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফর বাতিলের কথা জানিয়ে দেন ৷ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় কমিটিতে থাকবেন বলে মমতা জানিয়েছেন ৷
8 তারিখ বাজেট রয়েছে রাজ্যে। এই নিয়ে কাজকর্ম করতে হচ্ছে তাঁকে। মূলত সেই কারণেই দিল্লি যাওয়া বাতিল করলেন তিনি। প্রসঙ্গত, 'এক দেশ এক ভোট' এই ইস্যুতে আলোচনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিষয়টি নিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার একাধিকবার চেষ্টা করেছি প্রথম দিকে ফোন না-পাওয়া গেলেও সাংবাদিক সম্মেলনের আগে তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। তিনি বিষয়টি বুঝেছেন। আমার বদলে ওই বৈঠকে যোগ দেবেন দলের দুই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।"
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, "বাজেটের প্রস্তুতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমার পক্ষে রাজ্য ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোবিন্দজীর ডাকে আমি যেতে পারছি না তার জন্য আমি দুঃখিত। আপনারা অনুমতি দিলে আমার দলের প্রতিনিধি ওই বৈঠকে যোগ দেবে।" জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তাঁদের অনুমতি দিয়েছেন আর সে কারণেই আপাতত দিল্লি যাওয়া বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং দিল্লিতে 'এক দেশ এক ভোট' এই ইস্যুর বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে যোগ দেবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, আগেই এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের মতামত চাওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিতভাবে সে সময় দলের চেয়ারপারসন হিসেবে এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। বিশেষ করে তাঁর বক্তব্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের মধ্যে প্রেসিডেনশিয়াল ফর্ম অফ গভারমেন্টের ছবি তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন। বিশেষ করে তিনি বলেছিলেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের সময় এক নয়।
সেক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ সংবিধানের যে কাঠামো রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি মারফত এই বক্তব্য প্রেরণের পর এবার সুযোগ ছিল সামনাসামনি 'ওয়ান নেশন ওয়ান ভোট' নিয়ে বিরোধিতার কিন্তু বাজেট থাকায় তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। এই অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা মমতার এই প্রতিবাদকে কতটা ওই হাইপাওয়ার কমিটির সামনে তুলে ধরতে পারে সেটাই এখন দেখার ৷
আরও পড়ুন: