ETV Bharat / politics

অমিতের দাবি উড়িয়ে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব মমতা - Lok Sabha Election 2024

Mamata Banerjee At North Malda Constituency: কেন্দ্রীয় তহবিল নিয়ে দুই নেতার বাকযুদ্ধের লড়াই দেখল রাজ্য ৷ একদিকে রাজ্যের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাবদ 10 লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ আর তাঁর সেই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

Mamata Banerjee
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 30, 2024, 5:54 PM IST

মালদা, 30 এপ্রিল: মেমারি থেকে মালদা-দূরত্ব প্রায় 276 কিলোমিটার ৷ তীব্র গরমে এই দূরত্বের দুপ্রান্তে থাকা দুই নেতা কেন্দ্রীয় তহবিল নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়ালেন। একদিকে রাজ্যের উন্নয়নে 10 লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তাঁর সেই দাবির কিছুক্ষণের মধ্যেই মালদার জনসভা থেকে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

তাঁর কথায়, "বারবার বলা সত্ত্বেও আবাস যোজনা ও 100 দিনের কাজে কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি ৷ তবে আর প্রয়োজন হবে না ৷ বাংলার 11 লক্ষ মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দেবে তৃণমূল সরকার ৷ 100 দিনের কাজের জন্যও কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রয়োজন নেই ৷ সকলের জন্য কর্মশ্রী চালু করে দিয়েছি ৷" সেইসঙ্গে মমতার আরও দাবি, "ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের কাছে কোনও অব্যবহৃত ফান্ড নেই ৷"

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং 100 দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ যদিও বৈঠকে এই সমস্যার কোনও সুরাহা মেলেনি ৷ মঙ্গলবার রাজ্যের দুই প্রান্তের দুই সভায় ফের এই বিষয়ে বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই নেতার নির্বাচনী প্রচার ৷

শুধু কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে 'গদিছাড়া' করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা ৷ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে উত্তর মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, "দিল্লি থেকে তাঁকে গদিছাড়া" করবে ইন্ডিয়া জোট ৷ এই জোট আমি বানিয়েছি ৷ আপনাদের ভোট পেয়ে বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করব ৷ এই রাজ্য থেকে তাড়িয়ে ছাড়ব ৷" সেইসঙ্গে এনআরসি, সিএএ, ইউসিসি ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা সাফ জানান, বাংলায় এই সমস্ত আইন লাগু করতে দেননি। আগামিদিনেও দেবেন না ৷ তাঁর দাবি, "সিএএ আইনে নাম নথিভুক্ত করলে অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন ৷ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এই সমস্ত আইন লাগু করতে চায়ছে বিজেপি ৷"

'2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের 42টি আসনের মধ্যে 18টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিজেপি ৷ তবে এবার তাদের লক্ষ্য 32টি আসন ৷ সেই লক্ষ্য পূরণের বাংলায় নির্বাচনী প্রচার করছেন দিল্লির নেতা-মন্ত্রীরা ৷ তবে একচুল জায়গা ছাড়তে নারাজ রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেস তথা দলের সুপ্রিমো ৷

আরও পড়ুন:

মালদা, 30 এপ্রিল: মেমারি থেকে মালদা-দূরত্ব প্রায় 276 কিলোমিটার ৷ তীব্র গরমে এই দূরত্বের দুপ্রান্তে থাকা দুই নেতা কেন্দ্রীয় তহবিল নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়ালেন। একদিকে রাজ্যের উন্নয়নে 10 লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তাঁর সেই দাবির কিছুক্ষণের মধ্যেই মালদার জনসভা থেকে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

তাঁর কথায়, "বারবার বলা সত্ত্বেও আবাস যোজনা ও 100 দিনের কাজে কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি ৷ তবে আর প্রয়োজন হবে না ৷ বাংলার 11 লক্ষ মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দেবে তৃণমূল সরকার ৷ 100 দিনের কাজের জন্যও কেন্দ্রীয় সাহায্যের প্রয়োজন নেই ৷ সকলের জন্য কর্মশ্রী চালু করে দিয়েছি ৷" সেইসঙ্গে মমতার আরও দাবি, "ক্যাগের রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের কাছে কোনও অব্যবহৃত ফান্ড নেই ৷"

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং 100 দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের ৷ এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ যদিও বৈঠকে এই সমস্যার কোনও সুরাহা মেলেনি ৷ মঙ্গলবার রাজ্যের দুই প্রান্তের দুই সভায় ফের এই বিষয়ে বাকযুদ্ধে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই নেতার নির্বাচনী প্রচার ৷

শুধু কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নয়, প্রধানমন্ত্রীকে 'গদিছাড়া' করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা ৷ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে উত্তর মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, "দিল্লি থেকে তাঁকে গদিছাড়া" করবে ইন্ডিয়া জোট ৷ এই জোট আমি বানিয়েছি ৷ আপনাদের ভোট পেয়ে বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করব ৷ এই রাজ্য থেকে তাড়িয়ে ছাড়ব ৷" সেইসঙ্গে এনআরসি, সিএএ, ইউসিসি ইস্যুতে ফের একবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মমতা সাফ জানান, বাংলায় এই সমস্ত আইন লাগু করতে দেননি। আগামিদিনেও দেবেন না ৷ তাঁর দাবি, "সিএএ আইনে নাম নথিভুক্ত করলে অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন ৷ মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এই সমস্ত আইন লাগু করতে চায়ছে বিজেপি ৷"

'2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের 42টি আসনের মধ্যে 18টি আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিজেপি ৷ তবে এবার তাদের লক্ষ্য 32টি আসন ৷ সেই লক্ষ্য পূরণের বাংলায় নির্বাচনী প্রচার করছেন দিল্লির নেতা-মন্ত্রীরা ৷ তবে একচুল জায়গা ছাড়তে নারাজ রাজ্যের শাসক শিবির তৃণমূল কংগ্রেস তথা দলের সুপ্রিমো ৷

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.