মালদা, 15 মার্চ: গত বিধানসভা নির্বাচনে সুজাপুর আসনে রাজ্যের মধ্যে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তৃণমূল । বছর দুয়ের মধ্যে সেই সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্র যেন নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের কাছে । এমন চিন্তার কথা ভেসে উঠেছে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রাইহানের গলায় । এলাকার ভোটারদের শান্ত করতে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভোট চাওয়ার কথাও উঠে এসেছে শাসকদলের প্রার্থীর মুখে ।
গত লোকসভা নির্বাচনে সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের ঝুলিতে প্রায় 28 হাজার ভোটের লিড এসেছিল । গত বিধানসভা নির্বাচনে সেই সুজাপুর কেন্দ্রেই উলটপুরাণ । সারা রাজ্যের মধ্যে রেকর্ড ব্যবধানে (প্রায় 1 লক্ষ 32 হাজার) জয় পেয়েছিলেন শাসকদলের প্রার্থী আবদুল গণি । তবে ভোটের পর থেকে স্থানীয় বিধায়ককে এলাকায় আর দেখা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । এলাকায় বিধায়কের দেখা না পেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন পুরো বিধানসভা এলাকার ভোটাররা । সুজাপুর এলাকার এই ভোট ব্যাংকই বর্তমানে শাসকদলের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
আজ দুপুরে মালদা জেলা প্রেস কর্নারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শাহনওয়াজ আলি রাইহান বলেন, "মানুষ দু'হাত তুলে ভোট দিয়ে একজনকে জেতালেন । অথচ তাঁরা বিধায়কের কোনও পরিষেবা পাননি । স্বভাবতই সুজাপুরবাসীর মনে ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিক । প্রথমেই আমি সুজাপুরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব । আগামী দুই বছর যেন সুজাপুর বিধানসভার প্রতিনিধিত্ব থেকে বাদ না পড়ে যায়, সেই বিষয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দেব । বিধায়ককে হয়তো এলাকায় দেখা যায়নি, কিন্তু রাজ্য সরকারের সমস্ত পরিষেবা সেখানে পৌঁছে দিয়েছে ।"
সুজাপুরের পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে ইংরেজবাজার । গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে বিজেপির লিড ছিল প্রায় 92 হাজার । এ নিয়ে রাইহান বলেন, "বিগ্রেডে থাকতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইংরেজবাজার নিয়ে কথা হয়েছে । ওঁর নজরে সমস্ত কিছু রয়েছে । স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের নিজেদের ভোটের সময় পেরোতেই গা ছাড়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায় । এ বারও এ রকম কিছু নজরে এলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি তাঁকে জানাতে বলেছেন । তবে মালদায় আসার পর সমস্ত নেতৃত্বকে পাশে পেয়েছি । ভোটের পর সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হবে । এখানে সত্যি কোনও অন্তর্ঘাতের বিষয় রয়েছে কি না সে সব নজরে রাখা হবে ।"
আরও পড়ুন: