কলকাতা, 2 মার্চ: দু'দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক কর্মসূচি সেরেছেন। দলীয় কাজ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ও বিরোধীদের আক্রমণ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। রাজভবনে মোদি-মমতার বৈঠক নিয়ে বাম-কংগ্রেস, তৃণমূল-বিজেপিকে একসঙ্গে আক্রমণ করেছে।
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সৌজন্য মিটিং, প্রোটোকল মিটিং ৷ মিটিংয়ে রাজনীতির চেয়ে আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর গল্পই বেশি হয় ৷" এই মন্তব্যের পালটা সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, "মিটিং বা সিটিং এর চাইতে আসলে সেটিং টাই যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।" সুজনের আরও দাবি, বাংলায় কি বিজেপি মহারাষ্ট্রের মতোই তৃণমূলে 'শিণ্ডে' বানাতে চায়? প্রধানমন্ত্রীর দু'দিনের বঙ্গ সফরে ভাইপো'র প্রসঙ্গ কি ভুল করে এড়িয়ে গেলেন? ভাইপো যে ইদানিং ইডি, সিবিআই সবার নজরেরই বাইরে ৷ সবই কাকতালীয় নাকি, অন্দর কি বাত হ্যায়?
এদিকে কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যে ফেরিওয়ালা ঘুরে বেড়াচ্ছে। মিথ্যের ফুলঝুরি। উন্নাও থেকে হাথরস নিয়ে কিছু বললেন না। ইডি-সিবিআই রাজ্যের চোর জোচ্চোরদের ধরছে না। অথচ, কোর্টে দুই সংস্থার মুখ পুড়ছে। আবারও লোকসভার ভোট চলে এল। সারদা-নারদার এথিক্স কমিটির বৈঠক হল না। এর থেকেই প্রমাণিত তৃণমূল-বিজেপির বড় বন্ধু। সারদা-নারদার চোররা কেউ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা কেউ রাজ্য নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বঙ্গ বিজেপির হাল অত্যন্ত শোচনীয়। দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে, খবরে বিরোধিতা থাকবে, বাস্তবে নয়। তাই, টিভি-কাগজের খবরের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে বলব। কেউ কিছু মনে করব না।"
পাট শিল্পের শোচনীয় অবস্থায় জন্যই আজ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে সভায় বাম-কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এপ্রসঙ্গে আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, "উনি মূর্খের স্বর্গে বাস করেন। পাট শিল্প নিয়ে উনি কতটা অবগত ওনার ধারণা নেই। এরাজ্যের একাধিক পাট শিল্প কারখানা বন্ধ কেন? কয়টা শিল্প করেছেন বাংলার জন্য? ভোটের সময় নানারকম গল্প দিয়ে গরু গাছে তুলতে চাইছেন।"
পাট শিল্পের বিষয়ে তন্ময় ভাটাচৰ্য্যের দাবি, "নরেন্দ্র মোদি আরএসএসের বাইরে কিছুই পড়েননি। এই কারণেই উনি জানেন না দেশভাগের সময় 90 শতাংশ পাট চাষের জমি বাংলাদেশে গিয়েছে । আর চটকল গুলো এ বাংলায় থাকে। তখন থেকেই পাট শিল্পের সংকট দেখা যায়। এরপরে কেন্দ্রীয় সরকারি উদ্যেগে সিনথেটিকের ব্যবহারে পাট শিল্পে ধাক্কা বাড়ে। পরবর্তীতে প্লাস্টিকের ব্যবহারে ধাক্কাটা আরও বাড়ে। একইভাবে সময়ের সঙ্গে চটকলগুলোর আপগ্রেডেশন হয়নি। তবে, পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে আবারও চাঙ্গা করা যাবে। কারণ, সাধারণ মানুষের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে।"
আরও পড়ুন: