ETV Bharat / politics

কুণালের গলায় চেনা বিজেপি বিরোধিতা, স্বস্তি ফিরল তৃণমূলে - Lok Sabha Election 2024

Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষকে তৃণমূলের দলীয় পদ থেকে অপসারণের পর থেকে তাঁর একের পর এক বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়েছিল। সেই বরফ গলতেই ফের নিজের মেজাজে ফিরলেন কুণাল ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 5, 2024, 7:51 PM IST

Kunal Ghosh
কুণাল ঘোষ (নিজস্ব চিত্র)

কলকাতা, 5 মে: ডেরেক-ব্রাত্যর সঙ্গের বৈঠকের পরই স্বমহিমায় কুণাল ঘোষ ৷ এবার সন্দেশখালি নিয়ে আসরে নামলেন কুণাল ঘোষ। রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালি প্রশ্নে, শাসকের পক্ষেই সওয়াল করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতাকে। আর এক্ষেত্রে তিনি নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এবং দলের একজন কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন।

রাজ্যের শাসকদল কুণাল ঘোষকে দলীয় পদ থেকে অপসারণের পর থেকেই একের পর এক বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর গতকাল কুণাল ঘোষকে নিয়ে দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়ানের বাড়িতে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপর এদিন কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে আবার স্বস্তি ফিরল তৃণমূলে। আবার কুণালের গলায় চেনা বিজেপি বিরোধিতা। তবে এবার তাঁর বক্তব্য মুখপাত্র বা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নয়। প্রাক্তন সাংসদ তথা দলের কর্মী হিসেবে। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল। এক্ষেত্রে তাঁকে দেখা গিয়েছে চেনা ঢঙেই ৷ বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল ৷

এদিন কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, সন্দেশখালি প্রসঙ্গে পুলিশের উচিৎ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া ৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, "যাদের ওই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করুক। প্রয়োজনে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক পুলিশ ৷" একই সঙ্গে, তাঁর দাবি, বিষয়টি যেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক তরজায় আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কুণাল বলেছেন, "এই ভিডিয়ো থেকেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালিতে জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ছিল। তবে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো। এই মুহূর্তে সমস্ত সত্য প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাই সে কথা নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন। আদতে এভাবে বিজেপি বাংলার পাঁচ কোটি মহিলাকে অপমান করেছে। বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে ওরা। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় ওরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আমি চাই, এই ভিডিয়ো যাতে শুধু রাজনৈতিক তরজায় সীমাবদ্ধ না থাকে। বিজেপির যে ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে, তা তো রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সরকার এবং সমাজবিরোধী চক্রান্ত। রাজ্যের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করেছে ওরা। আর সে কারণেই এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।"

আরও পড়ুন

রাজভবনের কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে না, জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি

10 বছরের প্রাপ্তি থেকে আগামীর লক্ষ্য- অকপট প্রধানমন্ত্রী মোদি

কলকাতা, 5 মে: ডেরেক-ব্রাত্যর সঙ্গের বৈঠকের পরই স্বমহিমায় কুণাল ঘোষ ৷ এবার সন্দেশখালি নিয়ে আসরে নামলেন কুণাল ঘোষ। রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালি প্রশ্নে, শাসকের পক্ষেই সওয়াল করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতাকে। আর এক্ষেত্রে তিনি নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ এবং দলের একজন কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিয়েছেন।

রাজ্যের শাসকদল কুণাল ঘোষকে দলীয় পদ থেকে অপসারণের পর থেকেই একের পর এক বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর গতকাল কুণাল ঘোষকে নিয়ে দলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়ানের বাড়িতে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তারপর এদিন কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে আবার স্বস্তি ফিরল তৃণমূলে। আবার কুণালের গলায় চেনা বিজেপি বিরোধিতা। তবে এবার তাঁর বক্তব্য মুখপাত্র বা দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নয়। প্রাক্তন সাংসদ তথা দলের কর্মী হিসেবে। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতে সন্দেশখালি প্রসঙ্গে যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল। এক্ষেত্রে তাঁকে দেখা গিয়েছে চেনা ঢঙেই ৷ বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল ৷

এদিন কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, সন্দেশখালি প্রসঙ্গে পুলিশের উচিৎ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া ৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, "যাদের ওই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করুক। প্রয়োজনে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক পুলিশ ৷" একই সঙ্গে, তাঁর দাবি, বিষয়টি যেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক তরজায় আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। কুণাল বলেছেন, "এই ভিডিয়ো থেকেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালিতে জমি সংক্রান্ত কিছু সমস্যা ছিল। তবে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো। এই মুহূর্তে সমস্ত সত্য প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাই সে কথা নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন। আদতে এভাবে বিজেপি বাংলার পাঁচ কোটি মহিলাকে অপমান করেছে। বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে ওরা। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় ওরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আমি চাই, এই ভিডিয়ো যাতে শুধু রাজনৈতিক তরজায় সীমাবদ্ধ না থাকে। বিজেপির যে ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে, তা তো রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সরকার এবং সমাজবিরোধী চক্রান্ত। রাজ্যের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করেছে ওরা। আর সে কারণেই এই নিয়ে আইনি পদক্ষেপ প্রয়োজন।"

আরও পড়ুন

রাজভবনের কেউ পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে না, জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি

10 বছরের প্রাপ্তি থেকে আগামীর লক্ষ্য- অকপট প্রধানমন্ত্রী মোদি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.