বৈদ্যবাটি, 4 মে: আইন প্ৰণেতারা যদি জানতেন বিজেপি আমলে এমন রাজ্যপালরা দায়িত্বে আসবেন, তবে আইনে আর রক্ষাকবচ রাখা হত না। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এভাবেই আক্রমণ শানালেন তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের হাতে ক্ষমতা আছে। আগেও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নির্দেশ দিয়েছে।" এ প্রসঙ্গে শনিবার রাজ্যপালকে 'বিজেপির এজেন্ট' বলেও কটাক্ষ করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে নিয়ে তোলপাড় রাজ্যে। ভিন্ন মত পোষণ করছেন বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা। এবার নিজের লোকসভা এলাকায় প্রচারে বেরিয়ে রাজ্যপাল ও প্রধানমন্ত্রীকে একের পর এক আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বৈদ্যবাটির চাতরায় সকালে প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগ করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে 'বিজেপির এজেন্ট' বলে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেন কল্যাণ। আইনজীবী হিসাবে তাঁর মন্তব্য, "রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ হয়েছে ৷ তার প্রাথমিক তদন্ত পুলিশ করতেই পারে। এখনও এফআইআর দায়ের তো হয়নি। প্রাথমিক তদন্ত করার অধিকার পুলিশের আছে ৷ সাংবিধানিক রক্ষাকবচ যেটা আছে, সেটা হল প্রসিকিউশন করতে পারবে না। ইনভেস্টিগেশন আর প্রসিকিউশনের মধ্যে তফাৎ আছে।"
কল্য়াণের কথায়, "প্রাথমিক তদন্ত করতেই পারে পুলিশ ৷ তবে সেটা কখনই রেগুলার ইনভেস্টিগেশন নয়। সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে ভারতবর্ষে যারা সংবিধান প্রণয়ন করেছেন তারা কখনও ভাবেননি বিজেপির আমলে যে রাজ্যপালরা আসবেন তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন করা বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার দরকার হবে। তারা যদি জানতেন এই ধরনের রাজ্যপাল আসবে তাহলে সংবিধানে ওই রক্ষাকবচ রাখত না।" একই সঙ্গে তাঁর দাবি, "সুপ্রিম কোর্ট তো আর্টিকল 142-এ অনেক ক্ষমতা দিয়েছে ৷ অন্যান্য জায়গাতেও তো আজকাল সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অর্ডার দিচ্ছে ।সুপ্রিম কোর্টের সে ক্ষমতাও আছে। এখন সেই কেস যদি যায় তবে অনেক কিছু হতে পারে। কেসের মেরিট নিয়ে আমি কিছু বলছি না।"
আরও পড়ুন: