ETV Bharat / politics

বিহারে কংগ্রেস-আরজেডি আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হলেও পূর্ণিয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত - Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024: ইন্ডিয়া ব্লক বিহারে আসন সমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ৷ লালু প্রসাদ যাদবের দল আরজেডি 26টি আসনে লড়বে ৷ এবং কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য 9টি আসন পেতে চলেছে ।

Lok Sabha Election 2024
Lok Sabha Election 2024
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 29, 2024, 4:12 PM IST

পটনা, 29 মার্চ: বিহারে 40টি লোকসভা আসনের মধ্যে 9টিতে লড়াই করবে কংগ্রেস ৷ ওই রাজ্যে শরিক আরজেডি-র সঙ্গে তাদের যে আসন সমঝোতাতেই এই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে ৷ কংগ্রেসের অন্দরের খবর, এই ন’টি আসনের মধ্যে নেই পূর্ণিয়া ও ঔরঙ্গাবাদ আসন দু’টি ৷ যদিও এই দু’টি আসন কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল ৷ তাই এখানে দুই জোটসঙ্গীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে কি না, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত ৷

পূর্ণিয়া ও ঔরঙ্গাবাদ আসন দু’টিকে কংগ্রেস নিজেদের শক্তঘাঁটি বলে মনে করে ৷ সেই কারণে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা বিহারের এই দুই অংশ ছুঁয়ে গিয়েছে ৷ সম্প্রতি জন অধিকার পার্টির নেতা রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব কংগ্রেসে যোগদান করেছেন ৷ তাঁকেই পূর্ণিয়া থেকে প্রার্থী করতে চায় কংগ্রেস ৷ ওই আসনে লড়াইয়ের জমি পাপ্পু যাদব অনেকদিন ধরেই তৈরি করছিলেন ৷ তাঁকে সেখান থেকে লড়ার প্রস্তাব দিয়ে আরজেডি-তে যোগদান করাতে চেয়েছিলেন তেজস্বী-লালুরা ৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি যোগ দেন রাহুল গান্ধির দলে ৷

এর পর আরজেডি ওই কেন্দ্র কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হচ্ছে না৷ বরং তারা চায় সেখানে জেডিইউ-এর প্রাক্তন বিধায়ক বিমা ভারতীকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করতে ৷ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস দ্বিধায় রয়েছে ৷ তারা বুঝতে পারছে না যে পূর্ণিয়া আসনটি আরজেডি-কে ছেড়ে দেওয়া উচিত, নাকি সেখানে পাপ্পু যাদবকে প্রার্থী করে লালু প্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করা উচিত ! কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে জানা গিয়েছে, আরজেডি-কে পূর্ণিয়া ছেড়ে দিলে জোট মজবুত হবে ৷ সেক্ষেত্রে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে ৷

বিহার বিধান পরিষদের সদস্য কংগ্রেসের শাকিল আহমেদ খান ইটিভি ভারত-কে বলেন, “পূর্ণিয়ার আমাদের কাছে থাকা উচিত । আমদের সেখানে একটি খুব ভালো সমর্থন এবং বিজয়ী প্রার্থী আছে ৷ সেখানে ভারত ন্যায় সমাবেশ ছিল আমাদের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমাবেশ । এটা রাজ্যে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য ছিল ৷”

একই পরিস্থিতি ঔরঙ্গাবাদ নিয়েও ৷ সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী করতে চায় প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক নিখিল কুমারকে ৷ কিন্তু ওই আসনও আরজেডি ছাড়তে নারাজ ৷ তবে কাটিহার আসনটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছে আরজেডি ৷ সেখান থেকে ভোটে লড়ার সম্ভাবনা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তারিক আনোয়ারের ৷ তিনি বলেন, “কাটিহার কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী আসন । দল পেলে ভালো হবে ।”

কংগ্রেস বেগুসরাই আসনটিও চেয়েছিল ৷ সেখানে জেএনইউ-এর প্রাক্তনী কানহাইয়া কুমারকে তারা প্রার্থী করতে চেয়েছিল ৷ কিন্তু সেটাও আরজেডি প্রার্থী দেবে ৷ ফলে এই আসনেও কি কংগ্রেস বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের পথে হাঁটবে, সেই প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে ৷

যদিও শুরুতে কংগ্রেস 10টি আসন চেয়েছিল ৷ কিন্তু আরজেডি ছ’টির বেশি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ৷ ফলে প্রথমে আসনরফার আলোচনা ভেস্তে যায় ৷ পরে আরজেডি-র তেজস্বী যাদব ও কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপালের দৌত্যে জোট-রক্ষা হয় ৷ তার পর আলোচনায় ঠিক হয় বিহারে আরজেডি 26টি আসনে লড়াই করবে ৷ কংগ্রেস লড়বে 9টি আসনে ৷ সিপিআই-এমএল 3টি, সিপিআই 1টি ও সিপিএম 1টি আসনে লড়বে ৷ কংগ্রেসকে যে আসনগুলি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল - কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, ভাগলপুর, সমস্তিপুর, মুজাফফরপুর, বেতিয়া, পাটনা সাহিব, সাসারাম এবং শেওহর বা সুপল ।

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে 39টি আসনে জেতে এনডিএ ৷ একটি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস ৷ সেই আসনটি ছিল কিষাণগঞ্জ ৷ আরজেডি বা অন্য দলগুলি কোনও আসনে জিততে পারেনি ৷ এবার কি সেই ছবি বদলাবে, সেটাই এখন দেখার ৷

আরও পড়ুন:

  1. 11 কোটি বকেয়া ! কংগ্রেসের পর এবার আয়করের নোটিশ পেল সিপিআই
  2. কংগ্রেসকে কর রিটার্ন নিয়ে প্রায় 1823 কোটি টাকার নয়া নোটিশ আয়কর দফতরের, দাবি অজয় মাকেনের
  3. 14 আসনের প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের, আমেঠি-রায়বরেলি আসন নিয়ে সাসপেন্স অব্যাহত

পটনা, 29 মার্চ: বিহারে 40টি লোকসভা আসনের মধ্যে 9টিতে লড়াই করবে কংগ্রেস ৷ ওই রাজ্যে শরিক আরজেডি-র সঙ্গে তাদের যে আসন সমঝোতাতেই এই বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে ৷ কংগ্রেসের অন্দরের খবর, এই ন’টি আসনের মধ্যে নেই পূর্ণিয়া ও ঔরঙ্গাবাদ আসন দু’টি ৷ যদিও এই দু’টি আসন কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল ৷ তাই এখানে দুই জোটসঙ্গীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে কি না, সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত ৷

পূর্ণিয়া ও ঔরঙ্গাবাদ আসন দু’টিকে কংগ্রেস নিজেদের শক্তঘাঁটি বলে মনে করে ৷ সেই কারণে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা বিহারের এই দুই অংশ ছুঁয়ে গিয়েছে ৷ সম্প্রতি জন অধিকার পার্টির নেতা রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদব কংগ্রেসে যোগদান করেছেন ৷ তাঁকেই পূর্ণিয়া থেকে প্রার্থী করতে চায় কংগ্রেস ৷ ওই আসনে লড়াইয়ের জমি পাপ্পু যাদব অনেকদিন ধরেই তৈরি করছিলেন ৷ তাঁকে সেখান থেকে লড়ার প্রস্তাব দিয়ে আরজেডি-তে যোগদান করাতে চেয়েছিলেন তেজস্বী-লালুরা ৷ কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি যোগ দেন রাহুল গান্ধির দলে ৷

এর পর আরজেডি ওই কেন্দ্র কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি হচ্ছে না৷ বরং তারা চায় সেখানে জেডিইউ-এর প্রাক্তন বিধায়ক বিমা ভারতীকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করতে ৷ এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস দ্বিধায় রয়েছে ৷ তারা বুঝতে পারছে না যে পূর্ণিয়া আসনটি আরজেডি-কে ছেড়ে দেওয়া উচিত, নাকি সেখানে পাপ্পু যাদবকে প্রার্থী করে লালু প্রসাদ যাদবের দলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করা উচিত ! কংগ্রেসের অন্দরমহল থেকে জানা গিয়েছে, আরজেডি-কে পূর্ণিয়া ছেড়ে দিলে জোট মজবুত হবে ৷ সেক্ষেত্রে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে হতাশা তৈরি হবে ৷

বিহার বিধান পরিষদের সদস্য কংগ্রেসের শাকিল আহমেদ খান ইটিভি ভারত-কে বলেন, “পূর্ণিয়ার আমাদের কাছে থাকা উচিত । আমদের সেখানে একটি খুব ভালো সমর্থন এবং বিজয়ী প্রার্থী আছে ৷ সেখানে ভারত ন্যায় সমাবেশ ছিল আমাদের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমাবেশ । এটা রাজ্যে একটা বার্তা দেওয়ার জন্য ছিল ৷”

একই পরিস্থিতি ঔরঙ্গাবাদ নিয়েও ৷ সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী করতে চায় প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক নিখিল কুমারকে ৷ কিন্তু ওই আসনও আরজেডি ছাড়তে নারাজ ৷ তবে কাটিহার আসনটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছে আরজেডি ৷ সেখান থেকে ভোটে লড়ার সম্ভাবনা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তারিক আনোয়ারের ৷ তিনি বলেন, “কাটিহার কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী আসন । দল পেলে ভালো হবে ।”

কংগ্রেস বেগুসরাই আসনটিও চেয়েছিল ৷ সেখানে জেএনইউ-এর প্রাক্তনী কানহাইয়া কুমারকে তারা প্রার্থী করতে চেয়েছিল ৷ কিন্তু সেটাও আরজেডি প্রার্থী দেবে ৷ ফলে এই আসনেও কি কংগ্রেস বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের পথে হাঁটবে, সেই প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে ৷

যদিও শুরুতে কংগ্রেস 10টি আসন চেয়েছিল ৷ কিন্তু আরজেডি ছ’টির বেশি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দেয় ৷ ফলে প্রথমে আসনরফার আলোচনা ভেস্তে যায় ৷ পরে আরজেডি-র তেজস্বী যাদব ও কংগ্রেসের কেসি বেণুগোপালের দৌত্যে জোট-রক্ষা হয় ৷ তার পর আলোচনায় ঠিক হয় বিহারে আরজেডি 26টি আসনে লড়াই করবে ৷ কংগ্রেস লড়বে 9টি আসনে ৷ সিপিআই-এমএল 3টি, সিপিআই 1টি ও সিপিএম 1টি আসনে লড়বে ৷ কংগ্রেসকে যে আসনগুলি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল - কাটিহার, কিষাণগঞ্জ, ভাগলপুর, সমস্তিপুর, মুজাফফরপুর, বেতিয়া, পাটনা সাহিব, সাসারাম এবং শেওহর বা সুপল ।

2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে 39টি আসনে জেতে এনডিএ ৷ একটি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস ৷ সেই আসনটি ছিল কিষাণগঞ্জ ৷ আরজেডি বা অন্য দলগুলি কোনও আসনে জিততে পারেনি ৷ এবার কি সেই ছবি বদলাবে, সেটাই এখন দেখার ৷

আরও পড়ুন:

  1. 11 কোটি বকেয়া ! কংগ্রেসের পর এবার আয়করের নোটিশ পেল সিপিআই
  2. কংগ্রেসকে কর রিটার্ন নিয়ে প্রায় 1823 কোটি টাকার নয়া নোটিশ আয়কর দফতরের, দাবি অজয় মাকেনের
  3. 14 আসনের প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের, আমেঠি-রায়বরেলি আসন নিয়ে সাসপেন্স অব্যাহত
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.