কলকাতা, 1 মার্চ: হ্যাশট্যাগ 'আয়ে হো তো বাতাকে যাও' ৷ সোশাল মিডিয়ায় এভাবেই নরেন্দ্র মোদির আরামবাগের জনসভার পালটা প্রচারে নামল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ যেখানে সন্দেশখালি নিয়ে মোদির বক্তব্যের, পালটা মণিপুর প্রসঙ্গ টেনে আনল শাসকদল ৷ সেখানে উঠে এল ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের প্রসঙ্গও ৷ প্রশ্ন তোলা হল, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ কি বাছাই করা ঘটনাতেই বেড়ে ওঠে ? এমন নানান প্রশ্ন তৃণমূলের সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরা হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিরুদ্ধে শেখ শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আজ আরামবাগে বিজেপির জনসভায় সরব হন মোদি ৷ তিনি বলেন, "সন্দেশখালির বোনদের উপর তৃণমূল অনেক অত্যাচার করেছে ৷ তাঁদের অসম্মান করা হয়েছে ৷ যা উদ্বেগজনক ৷" মোদির এই উদ্বেগপ্রকাশের পালটা কয়েকটি প্রশ্ন এ দিন সোশাল মিডিয়া পোস্টে তুলে ধরে তৃণমূল ৷
সেখানে লেখা হয়,
"প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পুরো দেশ আক্রোশে ফেটে পড়েছিল,
যখন মণিপুরে মেয়েদের বিবস্ত্র করার পর, প্যারেড করে হাঁটানো হয়েছিল ৷
যখন উত্তরপ্রদেশে বাচ্চা মেয়েদের পাশবিকভাবে ধর্ষণ করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল ৷
যখন মহিলা কুস্তিগীররা একজন বিজেপি সাংসদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন ৷
আপনার উদ্বেগ কি ঘটনা বেছে বেছে আসে, মোদিজি ?
দেশের মেয়েরা কি আপনার নিছক রাজনৈতিক ফায়দা তোলার হাতিয়ার ?"
পাশাপাশি, মোদির আরামবাগের জনসভায় ভিড় নিয়েও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ৷ সোশাল মিডিয়া পোস্টে লেখা হয়, "প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় এনে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি ৷ কিন্তু, তাদের এই প্রয়াস পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে ৷ প্রধানমন্ত্রী যখন মঞ্চে তখন দেখা গেল সভাস্থলের একটা অর্ধেক অংশই ফাঁকা ৷ আরামবাগ স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিল যে বাংলার মানুষের হৃদয়ে বিজেপির কোনও জায়গা নেই ৷" তবে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালি যে বিজেপির এরাজ্যে একটা বড় অস্ত্র হতে চলেছে, তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন মোদি ৷
আরও পড়ুন: