ETV Bharat / politics

দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ হেমন্ত সোরেনের

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 5, 2024, 1:19 PM IST

Updated : Feb 5, 2024, 1:48 PM IST

Hemant Soren: সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোট চম্পাই সোরেনের সরকারের ৷ আদালতের অনুমতি নিয়ে সেই ভোটে অংশ নিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন বিজেপির বিরুদ্ধে ৷

Hemant Soren
Hemant Soren

রাঁচি, 5 ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে যোগ দিতে এসে সরাসরি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন হেমন্ত সোরেন ৷ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলেন, তিনি রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়াবেন ৷ সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোট চলাকালীন ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্য়ে এই চ্যালেঞ্জ করেন তিনি ৷

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় কয়েকদিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে হেমন্ত সোরেনকে ৷ গ্রেফতারির কিছুক্ষণ আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন ৷ তার পর ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন ৷ রাজ্যপাল তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দশদিন সময় দেন ৷ তবে তার অনেক আগেই সোমবার আস্থা ভোট হয় ৷

আদালতের অনুমতি নিয়ে দুর্নীতির মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনও আস্থা ভোটে অংশ নেন ৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন ৷ বিজেপিকে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জও করেন ৷ হেমন্ত বলেন, ‘‘আমি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব ৷’’

তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন ৷ আদিবাসীদের প্রতি বিজেপির আচরণ প্রতিহিংসামূলক বলেও দাবি হেমন্ত সোরেনের ৷ তিনি বলেন, বিজেপি চায় না যে একজন আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডে পাঁচ বছর পূর্ণ করুক ৷ তারা তাদের শাসনকালেও এটা করতে দেয়নি ৷’’

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আসন 81 ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন 41 জন বিধায়কের সমর্থন ৷ সরকার পক্ষের মধ্যে জেএমএমের বিধায়ক সংখ্যা 29, কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা 17 এবং আরজেডি ও সিপিআই এমএলের বিধায়ক একজন করে ৷ সব মিলিয়ে 48 জন ৷ এই হিসেব অনুয়ায়ী, আস্থাভোটে জেতার কথা চম্পাই সোরেনের ৷

যদিও হেমন্তর গ্রেফতারির পর থেকে ওই রাজ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে ৷ জেএমএম ও কংগ্রেস বিধায়কদের তেলেঙ্গানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ অনেকের আশঙ্কা, সরকার ফেলে দিতে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়তে পারে বিজেপি ৷ সেই আশঙ্কা সত্যি হতে গেলে বিজেপি তথা এনডিএ-র প্রয়োজন অন্তত আটজন শাসক-বিধায়েকর সমর্থন ৷

এই মুহূর্তে এনডিএ-র পক্ষে 32 জন বিধায়ক রয়েছেন ৷ এর মধ্যে বিজেপির 26, এনসিপি (অজিত পাওয়ার) 1, আজসুর 3 ও নির্দল বিধায়ক দু’জন ৷ তাই শেষ পর্যন্ত চম্পাই সোরেন আস্থা ভোটে জেতেন কি না, এখন সেটাই দেখার !

আরও পড়ুন:

  1. 'জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী', আস্থাভোটের আগের রাতে রাঁচি ফিরে জানালেন জোটের বিধায়করা
  2. হেমন্ত সোরেনকে 5 দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত
  3. ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চম্পাই সোরেনের

রাঁচি, 5 ফেব্রুয়ারি: ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে যোগ দিতে এসে সরাসরি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন হেমন্ত সোরেন ৷ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলেন, তিনি রাজনীতি থেকেই সরে দাঁড়াবেন ৷ সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোট চলাকালীন ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির উদ্দেশ্য়ে এই চ্যালেঞ্জ করেন তিনি ৷

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় কয়েকদিন আগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে হেমন্ত সোরেনকে ৷ গ্রেফতারির কিছুক্ষণ আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত সোরেন ৷ তার পর ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন ৷ রাজ্যপাল তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য দশদিন সময় দেন ৷ তবে তার অনেক আগেই সোমবার আস্থা ভোট হয় ৷

আদালতের অনুমতি নিয়ে দুর্নীতির মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনও আস্থা ভোটে অংশ নেন ৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন ৷ বিজেপিকে তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জও করেন ৷ হেমন্ত বলেন, ‘‘আমি বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করছি, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব ৷’’

তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন ৷ আদিবাসীদের প্রতি বিজেপির আচরণ প্রতিহিংসামূলক বলেও দাবি হেমন্ত সোরেনের ৷ তিনি বলেন, বিজেপি চায় না যে একজন আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডে পাঁচ বছর পূর্ণ করুক ৷ তারা তাদের শাসনকালেও এটা করতে দেয়নি ৷’’

প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আসন 81 ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে প্রয়োজন 41 জন বিধায়কের সমর্থন ৷ সরকার পক্ষের মধ্যে জেএমএমের বিধায়ক সংখ্যা 29, কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা 17 এবং আরজেডি ও সিপিআই এমএলের বিধায়ক একজন করে ৷ সব মিলিয়ে 48 জন ৷ এই হিসেব অনুয়ায়ী, আস্থাভোটে জেতার কথা চম্পাই সোরেনের ৷

যদিও হেমন্তর গ্রেফতারির পর থেকে ওই রাজ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে ৷ জেএমএম ও কংগ্রেস বিধায়কদের তেলেঙ্গানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল ৷ অনেকের আশঙ্কা, সরকার ফেলে দিতে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়তে পারে বিজেপি ৷ সেই আশঙ্কা সত্যি হতে গেলে বিজেপি তথা এনডিএ-র প্রয়োজন অন্তত আটজন শাসক-বিধায়েকর সমর্থন ৷

এই মুহূর্তে এনডিএ-র পক্ষে 32 জন বিধায়ক রয়েছেন ৷ এর মধ্যে বিজেপির 26, এনসিপি (অজিত পাওয়ার) 1, আজসুর 3 ও নির্দল বিধায়ক দু’জন ৷ তাই শেষ পর্যন্ত চম্পাই সোরেন আস্থা ভোটে জেতেন কি না, এখন সেটাই দেখার !

আরও পড়ুন:

  1. 'জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী', আস্থাভোটের আগের রাতে রাঁচি ফিরে জানালেন জোটের বিধায়করা
  2. হেমন্ত সোরেনকে 5 দিনের ইডি হেফাজতে পাঠাল আদালত
  3. ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চম্পাই সোরেনের
Last Updated : Feb 5, 2024, 1:48 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.