দুর্গাপুর, 5 মে: চাকদার জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, 'নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাই '। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কার্যত মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ করে বলেন,"নিঃশর্তই হবে । তাঁর দরকার আছে, তিনি আবেদন করে দিন । কোনও দেশ নিঃশর্ত নাগরিকত্ব কারওকে দিয়েছে ? সেই লোকটা কোথা থেকে এসেছে ? সে সন্ত্রাসবাদী না কি আমরা জানব না? যে তিনটে দেশের কথা বলা হয়েছে, সেই তিনটে দেশের নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে সেখানের সংখ্যালঘুদের । কেউ যদি রাশিয়া থেকে এসে কেউ বলেন, তাঁদের তো আর নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না । সেই জন্য কোথা থেকে এসেছে জানাও । পেয়ে যাবে বাংলাদেশ থেকে এলে ?"
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরের হোটেল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের জনসভায় যোগ দিচ্ছেন হেলিকপ্টারে চড়ে । সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন, "দিলীপ ঘোষ যখন মেদিনীপুরে ছিলে,তখন তিনি জঙ্গলমহলে ঘাঁটি গাড়তেন, তখন হারিয়েছি । বর্তমানে দুর্গাপুরে এসে ঘাঁটি গেড়েছেন, তবে ওঁকে হারাব । আমরা যেমন সাইকেল রাখি স্টেশনে, তিনি তেমন হেলিকপ্টার রেখেছেন সিটি সেন্টারে। হেলিকপ্টার আর গাড়ি রাখুন, যাই রাখুন বর্ধমানের মানুষ কেউ ভোট দেবেন না ।"
মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া অভিযোগ তুলেছিলেন, পাঁচ বছরে সংসদে কোন আওয়াজই তোলেননি দিলীপ ঘোষ । এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জুন মালিয়াকে পালটা জবাব দিয়ে বলেন,"উনি জানেন সংসদটা কোথায় ? বিধানসভাটা ভালো করে জানুন । উনি তো সন্ধ্যা রায়ের মতো সুন্দর । চেহারা দেখার জন্য লোকে বসে থাকত । উনাকে তো টিভিতেও আর দেখা যায় না । কীসের অভিনয় করেছেন কেউ জানেন না। আর ওঁকে দেখতেও পাওয়া যায় না । রোদে বেরোলে চেহারা খারাপ হয়ে যাবে । মেদিনীপুরে কোথায় থাকেন ? দলের লোকেদের সঙ্গে ঝগড়া করে, আবার কলকাতায় ফিরে আসেন ।"
এ দিন দুর্গাপুরের অঙ্গদপুরের রাসায়নিক কারখানা চত্বরজুড়ে প্রাতঃভ্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ । তিনি 200 টাকা কেজিতে চারাপোনা মাছ কিনে মাছ বিক্রেতাকে ধূমপান না-করার পরামর্শ দিলেন । তারপর দুর্গাপুরের মিশ্র ইস্পাত কারখানা এলাকায় চলে নয়া চা-চক্র ।
আরও পড়ুন: