ETV Bharat / politics

শূন্য হাতে এসেছি, এখন আর কিছুই রইল না; আক্ষেপ দিলীপের - Dilip Ghosh

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 7, 2024, 3:06 PM IST

Updated : Jun 7, 2024, 3:32 PM IST

Dilip Ghosh: 2019 সালে মেদিনীপুর থেকে জিতেছিলেন দিলীপ ঘোষ ৷ এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে হেরেছেন তিনি ৷ হারের পর তাঁর আক্ষেপ, শূন্য হাতে এসেছি, এখন আর কিছুই রইল না ৷ পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ৷

Dilip Ghosh
দিলীপ ঘোষ (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 7 জুন: 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 18টি আসনে জিতেছিল বিজেপি ৷ সেই আঠারো জনের মধ্য়ে একজন ছিলেন বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ এবার 18 থেকে 12-তে নেমেছে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৷ গতবারের বিজয়ীদের মধ্যে যাঁরা হেরেছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন দিলীপ ঘোষও ৷ হারের পর তাঁর গলায় ঝরে পড়ল আক্ষেপ ৷ বললেন, "আমি খালি হাতে এসেছিলাম দলে ৷ এখন আবার খালি হাত হয়ে গিয়েছি ৷"

লোকসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফল নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

গতবার দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর থেকে জিতেছিলেন ৷ এবার তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে ৷ যদিও এই পাঁচ বছরে অনেক বদল হয়েছে বিজেপির অন্দরে ৷ তিনি আর রাজ্য সভাপতি নন ৷ রাজ্য সভাপতি পদ যাওয়ার পর তাঁকে জাতীয় সহ-সভাপতিও করা হয়েছিল ৷ পরে তাঁর সেই পদও চলে যায় ৷ সেই কারণেই সম্ভবত তিনি বলছেন, ‘‘রাজনীতি করতে আসার সময় কিছুই ছিল না ৷ আজ আবারও আমার কাছে কিছু নেই ।’’

যদিও বিজেপির একাংশ আবার তাঁকেই রাজ্যের নেতৃত্বে ফেরানোর দাবি তুলতে শুরু করেছে ৷ তাঁদের যুক্তি, 2014 সালে সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বাংলায় বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ ৷ পাশাপাশি কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির কাজও করে গিয়েছেন নিরন্তর ৷ নানা সময় বিভিন্ন মন্তব্য়ের জন্য হয়তো বিতর্কে জড়িয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁর সভাপতিত্বের সময়ই বিধানসভায় 3 থেকে 77 হয়েছে বিজেপি ৷ লোকসভাতেও 2 থেকে 18 হয় বিজেপি ৷

তাই সংগঠনে হাল ফেরাতে আবার দিলীপকে প্রয়োজন বলেই দাবি উঠছে ৷ এই নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, সংকটে পড়লে কর্মীরা শক্ত খুঁটির সন্ধান করেন ৷ সেই কারণেই কর্মীরা হয়তো এই দাবি তুলছেন ৷ কিন্তু এই নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবে ৷ তাঁকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনি তা পালন করবেন ৷

নিজের জন্য কোনও দাবি না জানালেও সাম্প্রতিক সময়ে যে তিনি বঙ্গ বিজেপিতে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন, সেই কথা দিলীপের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে ৷ তিনি জানান, গত তিন সাড়ে তিন বছরে তাঁর হাতে দলের কোনও দ্বায়িত্ব ছিল না ৷ এমনকি তাঁর থেকে কোনও মতামতও নেওয়া হয়নি । তাই দলের যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদেরই আবার চিন্তা ভাবনা করতে হবে । সুরাহার পথ বের করতে হবে ।

একই সঙ্গে তিনি পুরনো কর্মীদের আরও গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন ৷ তাঁর কথায়, 'ওল্ড ইজ গোল্ড' ৷ পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে দিলে বিজেপি আর বিজেপি থাকবে না । দলকে আলোচনার করতে হবে যে বিজেপি যে পথে এগোচ্ছিল, সেটা সঠিক না ভুল । পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে মেদিনীপুরে তিনি প্রার্থী হলে বিজেপি জিততো ৷

মেদিনীপুরে এবার জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জুন মালিয়া ৷ তিনি 2021 সালে মেদিনীপুর বিধানসভা আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন ৷ ফলে মেদিনীপুর লোকসভা আসনটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ল ৷ সেখানে উপ নির্বাচন হবে ৷ ওই আসনে দিলীপকে প্রার্থী করার দাবি উঠেছে ৷ বিজেপির একাংশও নাকি এই নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ৷ তবে এই বিষয়ে জানার জন্য ইটিভি ভারত থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে দলীয় ভাবে এই ব্যাপারে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি ।

কলকাতা, 7 জুন: 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে 18টি আসনে জিতেছিল বিজেপি ৷ সেই আঠারো জনের মধ্য়ে একজন ছিলেন বিজেপির তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ এবার 18 থেকে 12-তে নেমেছে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৷ গতবারের বিজয়ীদের মধ্যে যাঁরা হেরেছেন, সেই তালিকায় রয়েছেন দিলীপ ঘোষও ৷ হারের পর তাঁর গলায় ঝরে পড়ল আক্ষেপ ৷ বললেন, "আমি খালি হাতে এসেছিলাম দলে ৷ এখন আবার খালি হাত হয়ে গিয়েছি ৷"

লোকসভা ভোটে বিজেপির খারাপ ফল নিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

গতবার দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুর থেকে জিতেছিলেন ৷ এবার তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে ৷ যদিও এই পাঁচ বছরে অনেক বদল হয়েছে বিজেপির অন্দরে ৷ তিনি আর রাজ্য সভাপতি নন ৷ রাজ্য সভাপতি পদ যাওয়ার পর তাঁকে জাতীয় সহ-সভাপতিও করা হয়েছিল ৷ পরে তাঁর সেই পদও চলে যায় ৷ সেই কারণেই সম্ভবত তিনি বলছেন, ‘‘রাজনীতি করতে আসার সময় কিছুই ছিল না ৷ আজ আবারও আমার কাছে কিছু নেই ।’’

যদিও বিজেপির একাংশ আবার তাঁকেই রাজ্যের নেতৃত্বে ফেরানোর দাবি তুলতে শুরু করেছে ৷ তাঁদের যুক্তি, 2014 সালে সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বাংলায় বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ ৷ পাশাপাশি কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির কাজও করে গিয়েছেন নিরন্তর ৷ নানা সময় বিভিন্ন মন্তব্য়ের জন্য হয়তো বিতর্কে জড়িয়েছেন ৷ কিন্তু তাঁর সভাপতিত্বের সময়ই বিধানসভায় 3 থেকে 77 হয়েছে বিজেপি ৷ লোকসভাতেও 2 থেকে 18 হয় বিজেপি ৷

তাই সংগঠনে হাল ফেরাতে আবার দিলীপকে প্রয়োজন বলেই দাবি উঠছে ৷ এই নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, সংকটে পড়লে কর্মীরা শক্ত খুঁটির সন্ধান করেন ৷ সেই কারণেই কর্মীরা হয়তো এই দাবি তুলছেন ৷ কিন্তু এই নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবে ৷ তাঁকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তিনি তা পালন করবেন ৷

নিজের জন্য কোনও দাবি না জানালেও সাম্প্রতিক সময়ে যে তিনি বঙ্গ বিজেপিতে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন, সেই কথা দিলীপের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়েছে ৷ তিনি জানান, গত তিন সাড়ে তিন বছরে তাঁর হাতে দলের কোনও দ্বায়িত্ব ছিল না ৷ এমনকি তাঁর থেকে কোনও মতামতও নেওয়া হয়নি । তাই দলের যাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদেরই আবার চিন্তা ভাবনা করতে হবে । সুরাহার পথ বের করতে হবে ।

একই সঙ্গে তিনি পুরনো কর্মীদের আরও গুরুত্ব দেওয়ার দাবি তুলেছেন ৷ তাঁর কথায়, 'ওল্ড ইজ গোল্ড' ৷ পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে দিলে বিজেপি আর বিজেপি থাকবে না । দলকে আলোচনার করতে হবে যে বিজেপি যে পথে এগোচ্ছিল, সেটা সঠিক না ভুল । পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে মেদিনীপুরে তিনি প্রার্থী হলে বিজেপি জিততো ৷

মেদিনীপুরে এবার জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জুন মালিয়া ৷ তিনি 2021 সালে মেদিনীপুর বিধানসভা আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন ৷ ফলে মেদিনীপুর লোকসভা আসনটি বিধায়ক শূন্য হয়ে পড়ল ৷ সেখানে উপ নির্বাচন হবে ৷ ওই আসনে দিলীপকে প্রার্থী করার দাবি উঠেছে ৷ বিজেপির একাংশও নাকি এই নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ৷ তবে এই বিষয়ে জানার জন্য ইটিভি ভারত থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে দলীয় ভাবে এই ব্যাপারে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি ।

Last Updated : Jun 7, 2024, 3:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.