কলকাতা, 5 অক্টোবর: আরজি কর আবহে এবছর 'দুর্গোৎসবে' গা ভাসাতে নারাজ অনেক বাম মনোভাবাসম্পন্ন মানুষ । যা নিয়ে আগেই বাম-বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে ।
কিন্তু, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, এবার পুজোয় সার্বিকভাবে আনন্দে মেতে না উঠলেও প্রাচীন রীতি চালু রাখবে সিপিএম । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পুজো মণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় বুকস্টল খোলা হবে । ইতিমধ্যে, বহু জায়গায় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে । যা নিয়ে খোঁচা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ।
সূত্রের দাবি, এবার শুধু মহানগরই সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির উদ্যোগে 115টি বুকস্টল করা হবে । পুজোর চার-পাঁচদিন বিভিন্ন আঞ্চলিক কমিটি নিজেদের উদ্যোগে এলাকার পুজোমণ্ডপ সংলগ্ন এলাকায় বুকস্টল খুলবে । সঙ্গে আরজি কর-সহ শাসকদলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদও চলবে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ।
এই খবরের আঁচ পেয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সিপিএমকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করেছেন । তিনি তাঁর ফেসবুক পেজে সিপিএমকে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, "উৎসবে নেই । কিন্তু উৎসবের জনসমুদ্রের ছোঁয়া নেওয়ার চেষ্টায় মণ্ডপের
কাছাকাছি স্টল খুলে বসে থাকব । বলুন তো কোন্ প্রজাতির প্রাণী ?"
পালটা জবাব এসেছে সিপিএমের তরফে । সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, "উৎসবে হবে না বা উৎসবে ফিরবেন না, আমরা কখনোই বলিনি । আমরা বলেছি, উৎসবেও প্রতিবাদ চলবে । মতাদর্শগত প্রচারের জন্য অন্যান্যবারের মতো পুজোতে বুকস্টল থাকবে । একই সঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হবে ।"
সূত্রের খবর, অন্যান্যবারের মতো এবছর সিপিএমের বুকস্টলে মতাদর্শের প্রচারে বই যেমন থাকবে, তেমন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর লেখা একাধিক নাটক, প্রবন্ধ, কবিতার বই থাকবে । তাঁর অনুবাদিত একাধিক বইয়ের সম্ভার থাকবে ।
তবে, মতাদর্শের প্রচারে পুজোতে শুধু সিপিএমের বুকস্টল থাকবে এমনটা নয় । শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বুকস্টলও থাকবে । শহরের 144টি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে বুকস্টল করার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের । সেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একাধিক বই পাওয়া যাবে । দলীয় মুখপত্রের শারদ সংখ্যাও পাওয়া যাবে । অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও একাধিক জায়গায় বুকস্টল খোলার কথা ভাবা হচ্ছে বলে খবর ।