কলকাতা, 27 অগস্ট: দিল্লির কায়দায় নবান্ন অভিযানে বাধা পুলিশের । ধর্মঘট ডেকে আন্দোলনের মোড় ঘোরাতে চাইছে বিজেপি । দুই কর্মসূচি নিয়ে এই ভাবেই বিশ্লেষণ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ।
আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ‘ছাত্র সমাজ’র ডাকে মঙ্গলবার ছিল নবান্ন অভিযান । সামনে না বললেও একপ্রকার স্পষ্ট যে এই আন্দোলনের পিছনে রয়েছে বিজেপি । গতকাল থেকেই এই অভিযান ঠেকাতে তৎপর ছিল রাজ্যের পুলিশ । বিভিন্ন রাস্তা কেটে লোহার গার্ডরেল দিয়ে এমনকি কন্টেনার দিয়ে রাস্তা আটকাতে দেখা গিয়েছে । বেলা থেকে বিকেল গড়িয়ে পথে ছিল প্রতিবাদীরা । শহরের বিভিন্ন অংশে অবরোধ করেছে রাস্তা । সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ নিত্যযাত্রীরা ।
এই নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আজ নবান্ন অভিযানে বিক্ষোভ মিছিল রুখতে দারুণ ভাবে সক্রিয় ছিল পুলিশ । গাদা গাদা পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে তুলে আনা হয়েছে । কাঁদানে গ্যাস, জল কামান, লাঠি, গুলি, তাড়া করছে । এই পুলিশ কোথায় ছিল যেদিন হাসপাতাল ভাঙচুর হল ? সেদিন তো 30-35 জন দুষ্কৃতী দেখে পুলিশ পালিয়ে ঢুকে পড়ল হাসপাতালের মধ্যে । যে পুলিশ দুষ্কৃতীদের দেখে পালায়, দুষ্কৃতীদের মান্যতা দেয় হাসপাতাল ভাঙতে, সেই পুলিশ আবার মারমুখী হতে পারে । মারমুখী হয় প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে আর অংশীদার হয় দুষ্কৃতীদের পাশে ।’’
এই ভাবেই নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তুলোধুনা করলেন তিনি । পাশাপশি বুধবার বিজেপির ডাকে 12 ঘণ্টা ধর্মঘট প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল নেত্রী যখন ভয় পেয়ে গিয়েছেন অপরাধীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, গোটা রাজ্যের মানুষ যখন বুঝে গিয়েছেন বিচার চাই বলে নাটক করে থেমে গিয়েছেন, তিনি চাইছিলেন এই ঘটনা থেকে নজর ঘোরাতে । তৃণমূলের পাতা ফাঁদে বিজেপি পা দিল, এটা পরিস্কার হয়ে গেল । আমরা বলেছিলাম মুখোশের আড়ালে লড়াই হয় না । সেটা করতে গিয়ে তৃণমূলের ফাঁদে পা দিল । মানুষের আন্দোলনে পজিটিভ নয় ।’’